Association for Democratic Reforms Report

সাংসদদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট এডিআর-এর

জাতীয়

২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে লোকসভায় পুনঃনির্বাচিত হওয়া ৭১ জন সাংসদের সম্পদ গড়ে ২৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সর্বোচ্চ বৃদ্ধির ‘রেকর্ড’ গড়েছেন বিজেপির রমেশ চাঁদপ্পা জিগাজিনাগি, এমন রিপোর্টই প্রকাশ করেছে এডিআর (Association for Democratic Reforms)।
জিগাজিনাগির সম্পদের মোট মূল্য, যা ২০০৯ সালে প্রায় ১.১৮ কোটি টাকা ছিল, ২০১৪ সালে ৮.৯৪ কোটি এবং ২০১৯ সালে ৫০.৪১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা সামগ্রিকভাবে ৪,১৮৯ শতাংশ বৃদ্ধির সমান! 
২০১৯ সালে টানা ষষ্ঠবার সংসদের নিম্নকক্ষে পুনঃনির্বাচিত, কর্ণাটকের বিজাপুরের সাংসদ জুলাই ২০১৬ থেকে মে ২০১৯ পর্যন্ত পানীয় জল ও নিকাশির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায়।
এডিআর-ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের রিপোর্ট অনুসারে, কর্ণাটকের আরেক বিজেপি সাংসদ, পিসি মোহন, সংসদের শীর্ষ ১০ জন সদস্যের তালিকায় দ্বিতীয়তে রয়েছেন যারা ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন।

পিসি মোহন ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় নির্বাচনী এলাকা থেকে লোকসভায় পুনঃনির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালের নির্বাচনে প্রায় ৫.৩৭ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করেছিলেন। ১০ বছরে যা ৭৫.৫৫ কোটি টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ ১,৩০৬ শতাংশ বৃদ্ধি! রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট থেকে টানা তৃতীয়বার পুনঃনির্বাচিত বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর সম্পদ ২০০৯ সালে ৪.৯২ কোটি থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৬০.৩২ কোটি টাকা হয়েছে, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভাথিন্দার শিরোমণি আকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কৌর বাদলের সম্পদ ২০০৯ সালে ৬০.৩১ কোটি থেকে ২০১৯ সালে ২০১৭.৯৯ কোটি টাকা হয়েছে, যা ২৬১ শতাংশ বৃদ্ধির সমান।

ওড়িশার পুরী থেকে বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদ পিনাকি মিশ্রের সম্পত্তি ২৯৬ শতাংশ (৮৭.৭৮ কোটি টাকা) বেড়েছে, যা ২০০৯ সালে ২৯.৬৯ কোটি টাকা থেকে ২০১৯ সালে ১১৭.৪৭ কোটি টাকা হয়েছে, রিপোর্টে যোগ করা হয়েছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০০৯ সালে নির্দল সহ ৭১ জন সংসদ সদস্যের গড় সম্পদ ছিল ৬.১৫ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের সম্পদের গড় বৃদ্ধি ১৭.৫৯ কোটি হয়েছে, যা ২৮৬ শতাংশ।

Comments :0

Login to leave a comment