MANIKTALA BY ELECTION

বামপন্থীরা দুর্বল হলে দুর্নীতি হয়, দেশের সম্পদ বিক্রি হয়: মানিকতলায় প্রচার রাজীবের

রাজ্য

ভিডিও এবং ছবি: প্রিতম ঘোষ

সৌরভ গোস্বামী

যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন। মানিকতলায় বামপন্থী আন্দোলনে যুক্ত প্রায় ত্রিশ বছর। উপনির্বাচনের প্রচারে সিপিআই(এম) প্রার্থী রাজীব মজুমদার গিয়েছেন প্রতিটি মহল্লায়। কথা বলছেন বাসিন্দাদের সঙ্গে।
উপনির্বাচন ১০ জুলাই। শনিবারও প্রচারে সকাল থেকে ছুটছেন রাজীব। বললেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। গরিব এলাকায় যাচ্ছি, আবাসনেও যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা মানুষের কাছে ভালোবাসা পাচ্ছি।’’


একমাস আগে, ১ জুন লোকসভার ভোট হয়েছিল। ফল বেরিয়েছিল ৪ জুন। সেকথা মনে রেখেই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআই(এম)’র প্রার্থী বলছেন, ‘‘সদ্য নির্বাচনের পর আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে উৎসাহিত করছে এলাকার বাসিন্দাদের ভালোবাসা।’’ 
বামপন্থীদের ভোট দেবেন কেন মানিকতলার বাসিন্দারা? কী বলছেন প্রচারে?
রাজীব মজুমদার বলছেন, ‘‘বামপন্থীরা দুর্বল হয়েছে বলে একটার পর একটা দুর্নীতি হচ্ছে রাজ্যে, প্রায় গোটা শিক্ষা দপ্তর জেলে। নির্বাচনে বামপন্থীদের ফল খারাপ হলেই ঘটনাগুলো মিথ্যে হয়ে যায় না। বামপন্থীরা দুর্বল হয়েছে বলেই দেশের সরকার দেশের সম্পদ কর্পোরেটর হাতে তুলে দিচ্ছে। বামপন্থীরা শক্তিশালী থাকলে পারত না।’’
বিধানসভার জন্য কী করতে চাইছেন? 
বামফ্রন্ট প্রার্থী বলছেন, ‘‘মানুষের কথা, যন্ত্রণার কথা, কাজের দাবি, শিক্ষাখাতে খরচ, জিনিসের দামের মতো সমস্যার কথা বলতে চাই। মানিকতলায় জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য নতুন কোনও বাস চালু হয়নি, সুযোগ পেলে বিধানসভায় পৌঁছে দেব সেকথা।’’ 
আরও বলছেন, ‘‘২০১১’র পর পরিকাঠামোর কাজ কিছু হয়নি মানিকতলা বিধানসভা এলাকায়। ক্যানাল ইস্ট এবং ওয়েস্ট রোড সংযোগের ব্রিজ বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তৈরি, স্টেট সেন্টার লাইব্রেরিও তাই। বামফ্রন্ট সরকারের সময়েই হয়েছিল গুরুদাস কলেজ বা অন্য কলেজ। এখন প্রাইভেট কলেজ হয়েছে, যাদের পয়সা রয়েছে কেবল তারা পড়বে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বাস। তাঁদের জন্য নতুন কোনও ভাবনা নেই। উল্টোডাঙায় ফুটব্রিজ তৈরি হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের সময়েই।’’
তাঁর ক্ষোভ, ‘‘এই সময়ে কী হয়েছে? মানিকতলায় বিভিন্ন পুকুর বুজে গেছে প্রোমোটারদের রাজত্বে। আটকাবো। সুযোগ পেলে তোলাবাজি আটকাবো। জনতার যন্ত্রণার কথা বিধানসভায় পৌঁছে দেব।’’

Comments :0

Login to leave a comment