বিশ্বনাথ সিং-তপন বিশ্বাস- রায়গঞ্জ
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই শহীদ হন কমরেড মনসুর আলম। মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ চলছে চোপড়ার লাল বাজারে। এই বিক্ষোভ অনিদিষ্টকালের জন্যে চলবে হুশিয়ারি আন্দোলনকারীদের।
এদিন চোপড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের মিছিলে গুলি চালানো ও দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হলেন সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস। এদিন দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাজ্য সড়কে বসে আন্দোলন শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় দাস, ডিএসপি ধ্রুব প্রধান সহ পুলিশকর্মীরা। পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়। সাতদিনের মধ্যে পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয় বলে জানান সিপিআই(এম) এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ তরফদার। এদিনের কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ তরফদার, মৃত মনসুর আলমের বাবা মইনুল হক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা দবিরুল ইসলাম, মকলেশ্বর রহমান, আনসারুল হক, কংগ্রেসের প্রবীন নেতা অশোক রায় ছাড়াও ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ মসিরুদ্দিন সহ আরও অনেকে।
গত ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমা নিতে যাবার সময় মুন্সিগছ এলাকায় সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস এ কর্মীদের ওপর প্রবল হামলা হয়, চলে মুহুর্মুহু গুলি ও বোমার বৃষ্টি ব্যাপকভাবে আহত হন অনেকেই। আশংকা জনক অবস্থায় শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে মারা যান দাসপাড়ার সিপিআই(এম) কর্মী মনসুর আলম।
অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও মূল আসামিদের ধরা তো দূরে থাক-চোপড়া বুকের বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিরোধীদের হুমকিদেওয়া হচ্ছে তোলাবাজি চলছে অথচ প্রশাসনের কোন ইতিবাচক ভূমিকা আমরা লক্ষ্য করছি না। দাসপাড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ তরফদার জানান, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের ভূমিকায়আমরা হতাশ। তাই আমাদের লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি মানা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের নামবে সিপিআই(এম) – কংগ্রেস এমনটাই জানা গেছে।
Comments :0