TMC Attack

কোচবিহারে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত যুব নেতৃত্ব

রাজ্য

মানুষের কাছ থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে রাজ্যের শাসক দল। পায়ের তলা থেকে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক জমি সরে যাচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে আক্রমণকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে তারা।  আর তাই সোমবার রাতে ইনসাফ যাত্রার প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে কোচবিহার জেলার সিতাইয়ে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হলেন যুবনেতা শুভ্রালোক দাস এবং ইউসুফ আলি। ধাঁরালো অস্ত্র ব্যবহার করে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। সিতাই হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দুজনকে দিনহাটায় আনা হয়। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে সিতাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রালোক দাস।
 নভেম্বর মাসের ৩তারিখ কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে ডিওয়াইএফআই এর ইনসাফ যাত্রা। এই কর্মসূচিকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে এদিন সন্ধ্যায় সিতাই চৌপথি এলাকায় পথসভা ছিল ডিওয়াইএফআই এর। এই সভার বক্তা ছিলেন এই দুই যুবনেতা। এদিন সভা শেষ করে তারা দুজন দিনহাটার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিতাবের শেওড়াতলা পেট্রোল পাম্পের সামনে এই দুই যুবনেতার পথ আটকায় সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার ছেলে কুন্তল বর্মা বসুনিয়া সহ আরও দুইজন। তাদের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালায় তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় এই তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন স্থানীয় যুবক কর্মীরা। তড়িঘড়ি সিতাই হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান তারা। এরপর সিতাই থানায় অভিযোগ করেন আক্রান্ত যুবনেতা শুভ্রালোক দাস। পরবর্তীতে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনহাটায় নিয়ে আসা হয়।
 আক্রান্ত যুবনেতা শুভ্রালোক দাস এবং ইউসুফ আলি জানান, এভাবে আক্রমণ করে তাদের লড়াইকে কোনভাবেই থামিয়ে দেওয়া যাবে না। এই লড়াই চলবে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুধাংশু প্রামানিক, সভাপতি শম্ভু চৌধুরী সহ জেলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা অনন্ত রায়। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
 

Comments :0

Login to leave a comment