DERNA LIBIYA FLOOD

সমুদ্র ফিরিয়ে দিচ্ছে মৃতদেহ, দেরনায় এখন ত্রাস ডায়েরিয়া

আন্তর্জাতিক

এভাবেই সমুদ্রতটে সারি সারি দেহ।

মৃতদেহের যেন শেষ নেই। বেরিয়েই চলেছে। বহু দেহ তটে ফিরিয়ে দিচ্ছে সমুদ্র। 

ঝড় আর বন্যায় বিধ্বস্ত দেরনায় এমনই ছবি। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স’র ত্রাণ বিভাগের প্রধান ক্ল্যারে নিকোলে আছেন লিবিয়ার এই শহরেই। নিকোলে বলেছেন, ‘‘বড়, খুব বড় সংখ্যায় মৃত্যু হয়েছে। যত খারাপই লাগুক, এটাই সত্যি। সমুদ্র এখনও ঝাঁকে ঝাঁকে দেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে তটে।’’ 

ঝড় ড্যানিয়েলের জেরে জলোচ্ছ্বাস আর তারপর দু’-দু’টো বাঁধ ভেঙে নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। ১১ হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে সরকারি স্তরেই। ধবংস আরও কত গভীর আরও কয়েকদিন পর বোঝা যাবে, মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। 

২০১১’তে সামরিক জোট ন্যাটোর হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন মোয়াম্মের গদ্দাফি। পশ্চিমী সামরিক জোট তাঁকেই হটাতে চেয়েছিল। কিন্তু লিবিয়ায় অস্থিরতা তার পর থেকেই ভয়ঙ্কর। প্রশাসন টলোমলো। কেবেল লিবিয়াতেই নয়, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখেন এমন বিভিন্ন অংশই বলছেন সেই বৃত্তান্ত। 

প্রশ্ন উঠেছে কেন ভেঙে পড়ল বাঁধ? প্রাথমিক অনুসন্ধান জানিয়েছে, দু’টিতেই ২০১৩’র পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আর হয়নি। লিবিয়ার জেনারেল প্রসিকিটর সাদিক আল সওরকে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে মুখ খুলতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘গাফলতির জন্য যে-ই দায়ী হোক কাউকে ছাড়া হবে না। স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে অপরাধীর মতো বিচার হবে।’’

এর মধ্যেই নতুন বিপদ হয়েছে ডায়েরিয়া। বাড়ি-ঘর ভেসে গিয়েছে, পরিজনদের খোঁজ নেই এমন বহু মানুষের দূষিত জল পান করা ছাড়া বিকল্পও নেই। প্রশাসন যদিও আশ্বস্ত করেছে যে দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। নাগরিকদের সতর্কও করা হয়েছে। 

উদ্ধারকারীরা নিখোঁজদের বের করার চেষ্টা করছেন। বেঁচে আছেন এমন প্রায় ৯০ হাজার নাগরিককে ত্রাণ দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছেন। জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশিরাও। সিরিয়া এবং মিশর থেকে এসে কাজ করছিলেন দেরনায়, এমন পরিবারও রয়েছে। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, মিশরের এক গ্রাম থেকে আসা ৭৪ জন এক সঙ্গে ভেসে গিয়েছেন।  

  

Comments :0

Login to leave a comment