Salim Minakhi

ধুলিয়ানে আক্রান্তদের সাথে দেখা করলেন সেলিম, মীনাক্ষী

রাজ্য

ধুলিয়ানের জাফরাবাদে নিহত পার্টি কমরেড হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, জামির মোল্লা, মীনাক্ষী মুখার্জী, ধ্রুবজ্যোতি সাহা এবং অন্যান্য পার্টি নেতৃত্ব।
পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন কথা বলেন সিপিআই(এম) নেতৃত্ব। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। সেলিম বলেন, ’’এখন এতো পুলিশ, তখন কোথায় ছিল? এর দায় পুলিশ মন্ত্রীকে নিতে হবে। আগুন লাগিয়েছে, দোকান লুঠ করেছে, ঘর লুঠ করেছে আগুন পাড়ার ছেলেরা নিভিয়েছে তাও দমকল আসেনি। তাহলে এই দমকল এবং পুলিশ দপ্তরটা কেন আছে?’’

সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা সমবেদনা জানিয়েছেন হিংসায় নিহত সকলের পরিবারকেই। তিনি বলেছেন, ধুলিয়ানে নিহত দু’জন অশান্তি থামাতে গিয়েছিলেন। হিংসা আটকাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন তাঁরা। এই দু’জনই সিপিআই(এম)’র সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেন, পুলিশের অপদার্থতায় এত বড় হিংসা হয়েছে।
গতকাল অশোকনগরে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা রোখা যায়নি কারণ পুলিশকে দিয়ে এর আগে ভোট লুট করিয়েছে তৃণমূল সরকার। পুলিশের এসপি, প্রাক্তন এসপি-কে ব্যবহার করা হয়েছে। এই পুলিশকে দিয়ে ধর্ষণ, দাঙ্গা আটকানো যায় না। জ্যোতি বসু বলেছিলেন সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না। আজকে সরকার চাইছে বলে দাঙ্গা হচ্ছে। 
তিনি এক প্রশ্নে বলেন, বিজেপি-তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করছে। উন্মত্ততা তৈরি করা হচ্ছে ধর্মের নামে। তারপর দাঙ্গায় নামানো হচ্ছে। 
তিনি বলেন, কেন মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলো? কারণ গত লোকসভা নির্বাচনেও বামপন্থীরা এবং কংগ্রেস সবচেয়ে ভালো ফল করেছে মুর্শিদাবাদে। ২০২৬’র নির্বাচনের আগে বাম এবং কংগ্রেসের ভোট ঘেঁটে দিতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল।

Comments :0

Login to leave a comment