জানা অজানা | নতুনপাতা
লেডি ক্যানিং থেকে লেডিকিনি
তপন কুমার বৈরাগ্য
লেডিকিনি বাংলার সবচেয়ে মুখরোচক মিষ্টান্ন। ছানা, ময়দা,
চিনি দিয়ে তৈরী।হালকা ভাজা লালচে বাদামী রঙের মিষ্টান্ন।
লেডি ক্যানিং ছিলেন চার্লস ক্যানিং এর স্ত্রী।চার্লস ক্যানিং১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের গভর্ণর ছিলেন।
১৮৫৮খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের ভাইসরয় হয়। লেডি ক্যানিং
ফ্রান্সে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার চার্লস স্টুয়াটের বড় কন্যা ছিলেন। অসাধারণ রূপবতী ছিলেন।১৮৮১খ্রিস্টাব্দের ৩১শে
মার্চ তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।১৮৩১খ্রিস্টাব্দে তাঁরা সপরিবারে ইংল্যান্ডে চলে আসেন।
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে লেডি ক্যানিং এর সাথে মহাধূমধাম করে
চার্লস ক্যানিং -এর বিয়ে হয়।তখন লেডি ক্যানিং -এর
বয়েস আঠারো বছর। রানী ভিক্টোরিয়ার লেডি ক্যানিং-এর
অপরূপ রূপ দেখে তাঁর বেডচেম্বারের লেডি হিসাবে তাঁকে
নিযুক্ত করেন।১৮৪২খ্রিস্টাব্দ থেকে১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত
রানির আস্থাভাজন হিসাবে রানির পাশেপাশেই তিনি ছিলেন।এরপর ১৮৫৬খ্রিস্টাব্দে স্বামীর সাথে কলকাতায় আসেন।
কলকাতায় এসে চার্লস ক্যানিং তখনকার প্রখ্যাত মিষ্টিপ্রস্তুতকারক
ভীমচন্দ্র নাগের সাথে দেখা করলেন। তিনি ভীমচন্দ্র নাগকে
বললেন---আপনাকে এমন এক ধরনের মিষ্টি তৈরী করে
দিতে হবে যে মিষ্টি হবে স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়।আর সেই
মিষ্টির নাম হবে আমার স্ত্রীর নাম অনুসারে। ভীমচন্দ্র নাগ
অনেক ভেবেচিন্তে সেই মিষ্টি বানালেন এবং মিষ্টি নিয়ে
চার্লস ক্যানিং-এর সাথে দেখা করলেন। চার্লস ক্যানিং এবং
তাঁর স্ত্রী এই মিষ্টি খেয়ে খুবই সন্তুষ্ট হলেন। চার্লস ক্যানিং
ঘোষনা করলেন --আজ থেকে এই মিষ্টির নাম হলো লেডিকেনি।
Comments :0