বকেয়া বেতন এবং পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় ফের ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ডিমডিমা চা বাগানের শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মজুরি না মেটানোর অভিযোগে শ্রমিকরা একাধিকবার আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। সম্প্রতি, গত বুধবার শ্রমিকরা বীরপাড়া থানার সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় পুলিশের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানসূত্র খোঁজা হবে। সোমবার পর্যন্ত কোনো সমাধান না আসায় শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই শ্রমিকরা গেট মিটিং করে এবং বিক্ষোভ দেখায়। পথ অবরোধ করার পরিকল্পনা নিলেও পুলিশ আটকে দেয়।
শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেও তাদের প্রাপ্য বেতন পাচ্ছেন না। চা বাগান কর্তৃপক্ষ একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। শ্রমিকরা জানায় তাদের দাবি যতদিন পুরন না হবে ততদিন গেট মিটিং বিক্ষোভ চলবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বকেয়া বেতন সংক্রান্ত এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে পারেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতা বিকাশ মাহালী জানান, ‘‘মেরিকো কোম্পানির সমস্ত বাগান গুলিতে এই সমস্যা গুলি দেখা যাচ্ছে। ১৯৫১ সনের লেবার প্লানটেশন এক্ট অনুযায়ী শ্রমিকদের গ্র্যা চুয়িটি, পিএফ, নুন্যতম মুজুরি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে লড়াইয়ে নামলেও কিন্তু তার সুরাহা হচ্ছে না। গত দুই দশক ধরে উত্তরবঙ্গের চা বাগান শ্রমিকরা দাবি ও আন্দোলন করে আসছেন ন্যূনতম মজুরি আইন ও শ্রমিকদের জন্য বাস্তু জমির নিরাপদ সত্ত্বা প্রদানের দাবিতে। আজও এই দুটি দাবি মানা হয়নি। চা বাগানের লিজ জমি পরিকল্পিত ভাবে সরকার ফ্রী হোল্ড করে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে। কেন্দ্র রাজ্যের সাঁড়াশি আক্রমণ, শ্রমিক সঙ্কট, শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, সব মিলিয়ে চা শিল্প সঙ্কটজনক অবস্থায়। কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকার অসহযোগীতায় চা শ্রমিকদের সঙ্কট আরও বাড়ছে।’’
Tea Workers Agitation
বকেয়া বেতনর দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

×
Comments :0