প্রয়াত হয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার স্যার ববি চার্লটন। দীর্ঘ দিন ধরেই ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাঁর স্ত্রী লেডি নর্মা প্রথম বার স্যার ববি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত বলে জানান। পরিবারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে শনিবার সকালে ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। শনিবার সন্ধের দিকে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের বাড়িতেই শান্তিপূর্ণ ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর সময় পরিবারের লোকেরাই তাঁর সঙ্গে ছিলেন।”
পরে তাঁর ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের তরফেও বিবৃতি দেওয়া হয়। ম্যান ইউয়ের তরফে বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “শুধুমাত্র ম্যাঞ্চেস্টার বা ইংল্যান্ড নয়, বিশ্বের যেখানে যেখানে ফুটবল খেলা হয়েছে, সেখানকার লক্ষ লক্ষ লোকের হৃদয়ে ছিলেন স্যার ববি।”
ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন স্যার ববি (ইংল্যান্ড এখনও পর্যন্ত একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৬৬ সালেই)। সেই বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে এক সারিতে উচ্চারণ করা হয় স্যার ববির নাম। দিয়েগো মারাদোনা এবং পেলের পর সাম্প্রতিক কালে আর এক বিশ্বজয়ী ফুটবলার চলে গেলেন। সে বছরের শেষের দিকে বালঁ দ্যর পুরস্কার জেতেন।
মিডফিল্ডার হিসাবেই খেলতেন স্যার ববি। কিন্তু গোল করার ধারাবাহিকতা ছিল দেখার মতো। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০৬টি ম্যাচে ৪৯টি গোল করেছেন। কেরিয়ারের বেশির ভাগ সময়েই ম্যান ইউয়ে কাটিয়েছেন। পাস এবং দূরপাল্লার শটের কারণে বিখ্যাত ছিলেন। ম্যান ইউয়ের হয়ে ৭৫৮টি ম্যাচে ২৪৯টি গোল করেছেন। ১৯৬৮ সালে ক্লাবকে প্রথম বার ইউরোপিয়ান কাপ (এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছিল। তবে স্যার ববির জীবনে অন্যতম সেরা ঘটনা ১৯৫৮ সালে মিউনিখের বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা। ম্যান ইউয়ের প্রথম দলের আট জন ফুটবলার এবং অনেক সাপোর্ট স্টাফ মারা গিয়েছিলেন সেই ঘটনায়। অক্ষত ছিলেন তিনি।
১৯৩৭ সালের ১১ অক্টোবর নর্দাম্বারল্যান্ডের আশিংটন গ্রামে জন্ম স্যার ববির। ম্যান ইউয়ে ১৫ বছর বয়সে যোগ দেন। চার্লটন অ্যাথলেটিকের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচ। চোট পাওয়া পেশি নিয়েও জোড়া গোল করেছিলেন। ধীরে ধীরে ক্লাব এবং দেশের অন্যতম সেরা অস্ত্র হয়ে ওঠেন। জীবনে বহু লড়াইয়ে জিতেছেন।
Comments :0