Kanchrapara Blast

কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল কর্মীর গুদামঘরে বিস্ফোরণ, জখম ২

রাজ্য


কাচড়াপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ। তৃণমূল কর্মী চন্দন রায় ওরফে রঘুর বাড়ির ভাঙাচোরা জিনিসের গুদামঘরে মজুত রাখা বোমা ফেটে দুইজন গুরুতর আহত হয়। মজুত রাখা দুটি বোমা ফেটেছে। এই ঘটনায় আহতদের বয়ান বোমা ওখানে রাখা ছিল। সেই বোমা ফেটেছে। এদের একজনের হাত ঝলসে গেছে। অপর এক জনের পা ঝলসে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই দুইজন কল্যানী জে এন এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বোমা ও বারুদের স্তুপের ওপর বারাকপুর শিল্পাঞ্চল। আবারও বোমা বিস্ফোরণ। এবার কাচড়াপাড়ায়। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কাচড়াপাড়ার কালীনগর রোড। কাচড়াপাড়া পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। আতঙ্কে এলাকায় মানুষ দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন। তৃণমূলের কর্মী চন্দন রায় ওরফে রঘু এলাকায় সমস্ত ভাঙাচোরা জিনিসের ব্যাবসা করেন। এছাড়াও ওই এলাকায় তৃণমূলের হয়ে সমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। তৃণমূল কর্মীর ভাঙাচোরা জিনিসের গুদামঘরে কর্মচারীরা কাজ করছিলেন। একজন কিছু ভাঙাচোরা জিনিস কিনে ওই গুদামঘরে নিয়ে আসেন। সেই সময় একজন কর্মচারী ওই ভাঙাচোরা জিনিস গুদামঘরের এক পাশে রাখতে বলেন। ওই গুদামের কর্মচারী সেই জিনিস রাখতে যায়। সেখানেই আগে থেকেই অনেক জিনিস রাখা ছিল। সেই মালপত্র হাত দিয়ে সরানোর সময় সেখানে রাখা বোমাগুলো ফেটে যায়। এই বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় গুদামঘরের দুইজন কর্মচারী মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন। তাদেরকে তৎক্ষণাৎ কল্যানী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এই দুইজন চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজনের হাত ঝলসে গেছে। আর একজনের পা ঝলসে গেছে। এই দুইজন চাকদহ এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বীজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যে তৃণমূল কর্মী চন্দন রায় ওরফে রঘু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে। টোটো করে এসে তাকে লক্ষ্য করে দুস্কৃতীরা বোমা ছুঁড়েছে এই গল্প ফেঁদে সংবাদমাধ্যমে বলতে থাকে। কিন্তু হাসপাতালে শুয়ে গুরুতর আহত ওই গুদামঘরের কর্মী জানায় বোমা ওইখানেই ছিল। একজন জিনিস কিনে আনেন। সেই কর্মচারী ওইখানে রাখা জিনিসপত্র হাত দিয়ে সরানোর সময় এই বিষ্ফোরণ ঘটে। তৃণমূলের কর্মী চন্দন রায় ওরফে রঘু বীজপুরের তৃণমূলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত।  বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন বাইরে থেকে ভাঙাচোরা জিনিসের সাথে এই বোমা ওখানে চলে এসেছে। এক্ষেত্রেও কি পুলিশ কমিশনার আসল ঘটনা আড়াল করতে চাইছে? তৃণমূলের কর্মীকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চলছে। ওই গুদামঘরে কর্মরত কর্মচারীর বয়ানের সাথে কি মালিক, কি পুলিশ কমিশনার কারোর বয়ানের কোনো মিল নেই। গুদামঘরটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ কি আদৌ কোনো ব্যাবস্থা নেবে এই প্রশ্নগুলি তুলছেন স্থানীয় মানুষ। ঘটনার প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ।
kanchrapara blast in tmc worker junk shop injured two

Comments :0

Login to leave a comment