গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। বইছে লু। ইতিমধ্যেই কলকাতার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি পার করেছে। এবারের গ্রীষ্মে অস্বাভাবিক দাবদাহ চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। এপ্রিল থেকে জুন এই সময়কালে তীব্র তাপপ্রাবহে বিপর্যস্ত হবে দেশের বড় অংশের জনজবীন। এমনই সতকর্তা আবহাওয়া দপ্তরের। এই সতর্কতা জারি করে অবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তীব্র দাবদাহের জেরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি থাকবে।
চৈত্রে মাসের সবে ১৯ তারিখ তাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বুধবার থেকে পশ্চিমের ৫ জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। মঙ্গলবার সতর্ক করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও বাড়বে গরম। থাকবে অস্বস্তিকর আবহাওয়া। তবে উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। বুধবার গরম ও তাপপ্রবাহ দুটোই বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দিনের তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ এর ঘরে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা এবং অস্বস্তিকর গরম থাকবে কলকাতা জুড়ে।
ইতিমধ্যেই চল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে বাঁকুড়ায়। পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়বে রাজ্যে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যদি কোথাও বজ্রগর্ভ মেঘের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেখানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে তাতে গরমের মাত্রা একটুও কবে না। আজ থেকেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
তবে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে।
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলাগুলিতে।
তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। আর এতে মানুষের অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে এ পরিস্থিতিতে মানুষের অস্বস্তি বাড়তে পারে। বুধবার অস্বস্তিকর গরম থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। এদিকে কলকাতাতে বৃষ্টি হতে পারে কয়েকদিন পর। এদিকে তিলোত্তমা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওদিকে উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হবে।
বুধবার দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যাবে। সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে জেলায় জেলায়। গরম হলুদ সতর্কতা জারি থাকবে।
বুধবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙ, কালিম্পং ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জায়গায় বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। জারি রয়েছে সতর্কতা। তবে আগামী দুদিন কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর,দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে এমনটাই পূর্বভাষ আবহাওয়া দপ্তরের।
এবারের গ্রীষ্মে অস্বাভাবিক দাবদাহ চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। এপ্রিল থেকে জুন এই সময়কালে তীব্র তাপপ্রাবহে বিপর্যস্ত হবে দেশের বড় অংশের জনজবীন। এমনই সতকর্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এই সতর্কতা জারি করে অবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তীব্র দাবদাহের জেরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি থাকবে। তাপপ্রবাহের মারাত্মক প্রভাব পড়বে গুজরাট, মধ্য মাহারাষ্ট্র, উত্তর কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ওডিশা, উত্তর ছত্তিশগড়, এবং অন্ধ্র প্রদেশে। এবারে পার্বত্য অঞ্চলেও দাবদাহের প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা। তিনি জানান, হিমালয় পর্বত সংলগ্ন অঞ্চলগুলি ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে। এই অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।
Comments :0