আইপিএলেআইপিএলে রেকর্ড গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবথেকে বেশি রান করার রেকর্ড করে ফেলল তারা। বুধবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে তারা ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করে। এত রান আইপিএলে কোনও দল এর আগে করতে পারেনি। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২০১৩ সালে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছিল। বুধবার শুরুটা করেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক ট্রেভিস হেড। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে তিনি ২৪ বলে ৯টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৬২ রান করেন। অপর ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল যদিও রান পাননি। তিনি ১১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তিন নম্বরে নেমে হেডকে যথাযথ সাথ দেন অভিষেক শর্মা। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৩ বলে ৬৩ রান করেন। তিনি মারলেন ৩টি চার ও ৭টি ছয়। হেড ও অভিষেক সাজঘরে ফিরলেও সেই ধারা বজায় রাখেন এডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেন। মার্করামের ব্যাট থেকে এল অপরাজিত ২৮ বলে ৪২ রান। ২টি চার ও ১টি ছয় মারলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার। ক্লাসেনের ব্যাট থেকে এল ৩৪ বলে ৮০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। তিনি মারলেন ৭টি ছক্কা ও ৪টি চার। মুম্বাইয়ের কোনও বোলারই ছাপ ফেলতে পারেননি। বিশেষত ক্লাসেন মাঠে নামার পর তাঁদের দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন কোয়েনা মাফাকা। ৪ ওভারে ৬৬ রান দিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, জেরাল্ড কোয়েটজি এবং পীযূষ চাওলা। কিন্তু রান আটকাতে পারেননি কেউ।জয়ের জন্য ২৭৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে রোহিত শর্মাদের কাঁধে বিরাট দায়িত্ব।
বিশাল রানের পাহাড়। রোহিত-ঈশানের ব্যাট ঝড় তুলেছিল। তবে রোহিত (১২ বলে ২৬), ঈশান কিষান (১৩ বলে ৩৪), নমন ধীর (১৪ বলে ৩০)-কেউই নিজেদের স্কোর বড় রানে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। তিলক ভার্মা শুরুর জড়তা কাটিয়ে ৩৪ বলে ৬৪ করে যান। শেষদিকে ওভার পিছু ১৬ রানের বেশি আস্কিং রেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে টিম ডেভিডের ব্যাট ঝলসে উঠল ২২ বলে ৪২ করে। হার্দিক আউট হওয়ার পর নামেন রোমারিও শেফার্ড। হার্দিক পান্ডিয়া ২০ বল খেলে মাত্র ২৪। ৬ বলে অপরাজিত ১৫ করেন রোমারিও শেফার্ড। ২২ বলে ৪২ করে অপরাজিত থাকেন টিম ডেভিড। এদিন মুম্বাই ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে। ৩১ রানে হারল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল হায়দরাবাদ।
Comments :0