UN RELIEF ISRAEL

রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিভাগকেই হামলার অভিযোগে জড়ালো ইজরায়েল

আন্তর্জাতিক

বোমায় আক্রান্ত এমন শিশুদের চিকিৎসা এবং সহায়তায় জড়িত রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভাগটি।

বিধ্বস্ত গাজায় যতটা সম্ভব ত্রাণ এবং সহায়তা পৌঁছানোর কাজ চালাচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এবার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে হামাসের হামলার সহযোগী বলে অভিযোগ তুলল ইজরায়েল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রবিবারই বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। 
ইজরায়েলের অভিযোগ ৭ অক্টোবর হামাস যে হামলা চালায় তার সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ ও সহায়তা বিভাগের ১২ জন কর্মী। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠিয়েছে ইজরায়েল। কিন্তু কিভাবে যুক্ত, কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই কর্মীদের গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠল তা বিশদে ইজরায়েল জানায়নি। 
১৯৪৮ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পর তৈরি হয় এই বিভাগ ’ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’। উদ্বাস্তু এবং বিপন্ন প্যালেস্তানীয়দের ত্রাণ এবং সহায়তার কাজে যুক্ত রয়েছে এই বিভাগ। ইজরায়েল অভিযোগ তোলার পরই তাদের সহযোগী ৯টি দেশ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে এই বিভাগকে। 
রবিবার গুতেরেজ বলেছেন, ‘‘ত্রাণ ও সহায়তা বিভাগে হাজার হাজর কর্মী কাজ করেন। তাঁদের অনেকে কঠিন সময়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যান। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব কর্মীকেই দায়ী করা অন্যায় হবে।’’ 
সেই সঙ্গে গুতেরেজের আবেদন, ‘‘এই বিভাগে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হলে বিপন্ন বহু মানুষের জীবনে তার প্রভাব পড়বে। সহায়তা চালু রাখা উচিত সব দেশেরই।’’ 
ইজরায়েলের অভিযোগে ১২ জন কর্মীর উল্লেখ করা হয়েছে। ত্রাণ ও সহায়তা বিভাগের কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজরেনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ৯জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১ জন মৃত। ২জনের সম্পর্কে বিশদ খোঁজ নেওাব হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘কেবল অভ্যন্তরীণ শাস্তি নয়, সন্ত্রাসবাদে যোগ দেখা গেলে বিচারবিভাগের সামনে হাজির হতে হবে অভিযুক্তদের। পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদন্ত চালানো হবে।’’ 
৭ অক্টোবরের পর থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই বিভাগ কেবল গাজায় সহায়তা চালাচ্ছে না, মানবিক বিপর্যয়ের ছবি পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। গত শুক্রবারই আন্তর্জাতিক আদালত ইজরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment