Kolkata knight riders

গুরবাজের পাশাপাশি তৈরি রাখা হচ্ছে রয়-লিটনকে

খেলা

Kolkata knight riders


এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তার মধ্যে জিতেছে দু’টি। হেরেছে একটি। দু’টি জয়ে অবদান রেখেছে মিডল-লোয়ার অর্ডারের দুই ব্যাটার। টপ অর্ডার কোনও ব্যাটার এখন অবধি ধারাবাহিক নন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওপেনার রহমাতুল্লাহ গুরবাজ দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করেছিলেন। পরের ম্যাচে ভালো শুরু করেও রান পাননি। অর্থাৎ কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের বড় চিন্তার জায়গা হলো ওপেনিং কম্বিনেশন। ইতিমধ্যেই তিনটি ম্যাচে নাইটরা তিনটি আলাদা ওপেনিং জুটি ব্যবহার করেছে। কোনও জুটি ভরসা দিতে পারেনি।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কি কেকেআরের আরও একটি নতুন ওপেনিং কম্বিনেশন দেখা যেতে পারে? ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছেন দু’জন খুব ভালো মানের ওপেনার ব্যাটার। ইংল্যান্ডের জেসন রয় ও বাংলাদেশের লিটন দাস। এদিন অনুশীলনে দেখা গেল, শুরুতে গুরবাজের পাশের নেটে ব্যাটিং করলেন রয়। যথারীতি তিনি বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। নেটের পেছনে দাঁড়িয়ে রয়ের ব্যাটিংয়ের দিকে নজর রাখছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। নেটে দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ সহকারে ব্যাটিং করলেন রয়। রয়ের স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা রয়েছে। বিপক্ষ শিবিরে রয়েছেন দু’জন লেগ স্পিনার। মায়াঙ্ক মার্কান্ডে ও আদিল রশিদ। তাই, লেগ স্পিনের বিরুদ্ধেও অনুশীলন করলেন রয়। গুরবাজ তাই।


পেস, স্পিন, থ্রো-ডাউন সবই সামলালেনন। লিটন দাসকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিং প্র্যাকটিস করলেন। তিনজনকে তৈরি রাখা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিন বিদেশি ওপেনারের মধ্যে কাকে খেলানো হবে? সেদিকে পাল্লা ভারি গুরবাজের দিকে। নাটকীয় কিছু হলে, সেক্ষেত্রে রয় বা লিটনের মধ্যে কেউ খেলতে পারেন।  
ওদিকে, রিঙ্কু তো এখন নায়ক। শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কার মারার পর তাঁর পরিচিতি রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলির স্ট্যান্ডের নিচে দাঁড়িয়ে যে’কজন প্র্যাকটিস দেখছিলেন। তাঁরা রিঙ্কুকে দেখতে পেয়ে নিজস্বী তোলার জন্য আবদার করলেন।  বাদ যাননি লিটনও। যেহেতু তিনি বাংলায় কথা বলতে পারেন। তাঁকে কেকেআর সমর্থকরা বলেছিলেন, ‘লিটন দা একটা সেলফি হবে।’ লিটন তাঁদের দিকে হাত দেখিয়ে ফের মনোযোগ দিলেন নিজের ব্যাটিংয়ে। ৪৮ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলার পর, রিঙ্কুর আত্মবিশ্বাস অন্য লেভেলে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার নেটেও তাঁকে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল।

ওপেনিং সমস্যার মতো আন্দ্রে রাসেল ছন্দ স্বস্তি দিচ্ছে না নাইটদের। রাসেলের ব্যাটে রান নেই। বোলিং করছেন না। চিন্তার কোনও কারণ নেই। মাঝপিচের পাশের নেটে রাসেলে যেভাবে ব্যাট করলেন, তাতে শুক্রবার দিন যদি তিনি চলেন, মার্কো জানসেন, ভুবনেশ্বর কুমারদের ঘুম উড়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কঠিনতম পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে নেমে রাসেল ইডেনে এমন ঝড় তুলেছিলেন, জেতা ম্যাচ হেরে গিয়েছিল এসআরএইচ। এদিন শুধু ব্যাটিং করলেন, হাত ঘুরিয়েছেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ারদের অনেকক্ষন বোলিং করেছেন। তাতে এটা পরিষ্কার, তিনিই খেলবেন আগামী ১৪ এপ্রিল। রাসেলের সঙ্গে দলের আরেক বিদেশি অলরাউন্ডার ডেভিড উইজেও পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং- বোলিং করেছেন। 
অন্যদিকে, এবার রাসেলকে আটকানোর পরিকল্পনা ছকে রেখেছে সানরাইজার্স। আইডেন মাক্ররাম, হেনরিচ ক্লাসেন ও গ্লেন ফিলিপসরা উমেশ যাদব, লকি ফার্গুসনদের সামলানোর জন্য তৈরি হলেন।


বড় বড় শট খেললেন। দু’ম্যাচ হারার পর একটা ম্যাচ জিতেছে। ইডেন জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চান, ওইজন্যই তিন ঘন্টার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখলেন না তাঁরা। তাঁদের নেটে দেখা গেল, ক্যারম বল করা একজন স্পিনারকে। মূলত বরুণ চক্রবর্তীর জন্য তাঁকে আনা হয়েছে। প্রাক্তন নাইট রাহুল ত্রিপাঠী এখন এসআরএইচ শিবিরে। শেষ ম্যাচেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন। অপরাজিত ৭৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। এবার পুরানো দলের বিরুদ্ধে ভালো কিছু করতে মরিয়া তিনি।  

Comments :0

Login to leave a comment