PANCHAYAT LEFT

জনতার পঞ্চায়েত গড়তে বুথ রক্ষার লড়াইয়ে বাংলা

রাজ্য

PANCHAYAT LEFT কাঁকসার মিছিলে মহম্মদ সেলিম।

পঞ্চায়েত কেমন হবে? 

এমন পঞ্চায়েত যা জবাবদিহি করবে গ্রামের মানুষের কাছে। গ্রামের সরকার হবে পঞ্চায়েতই। সরকারি পরিষেবা বাড়ির দুয়ারে টেনে আনবে এমন জনতার পঞ্চায়েত। 

চাপড়ায় জনসভা মীনাক্ষী মুখার্জির।

তৃণমূল আর বিজেপি’কে হারিয়ে জনতার পঞ্চায়েত গড়ার প্রচারে এমনই বলছেন বামপন্থীরা। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে চলেছে প্রচার। কোথাও হয়েছে সমাবেশ, বড় মিছিল। কোথাও আবার প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলা হয়েছে সহনাগরিকদের সঙ্গে। 

নির্বাচনে বামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় থাকা আইএসএফ এবং কংগ্রেস একসঙ্গে করছে মিছিল। 

এদিন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় হয় বিশাল মিছিল। নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নদীয়ার চাপড়ায় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন যুবনেত্রী এবং সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভগবানপুর শঙ্করপুরে গ্রামের পথে কেবল মানুষ আর মানুষ। এখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। 

ভগবানপুর শঙ্করপুরে মিছিলে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি ও কান্তি গাঙ্গুলি

তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। রাজ্যের বহু জায়গা থেকে উঠছে এমন অভিযোগ। রাজ্যের পুলিশ প্রধান বলছেন ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে দেওয়া হচ্ছে মনোনয়ন। তালিকা থেকে সিপিআই(এম), আইএসএফ প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। বামপন্থীরা বলছেন পুলিশ এবং কমিশনকেও জবাবদিহি করতে হবে জনতার কাছে। 

চোরদের তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম, কাঁকসায় বিশাল মিছিলের পর জনসভায়। সেই সঙ্গে মনে করিয়েছেন যে দুর্নীতিকে হারাতে হলে মানুষের একজোট থাকা প্রয়োজন। তৃণমূলের মতো বিজেপি’ও বিভাজনের রাজনীতিকে সম্বল করে ভোট লড়ে। দুই দলই লুটেরাদের পক্ষে। তৃণমূল চাকরি বিক্রি করে, বালি পাথর কয়লা চালান করে। আর বিজেপি পছন্দের কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, কাজের সুযোগ বন্ধ হয়, কাজ থাকলে মজুরির ঠিক থাকে না- সবই হয় লুটের রাজনীতির জন্য। সেই জন্যই গণতন্ত্রকে লুট করতে হয়। দু’দলই মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়।

মানুষের সম্পদ লুট করে কয়েকজনের হাতে দেওয়ার রাজনীতিকে হারাতেই হবে, মিছিলে জনসভায় বলছে বামফ্রন্ট। যে কোনও অবস্থায় রক্ষা করতে হবে বুথ। রক্ষা করতে হবে ভোট দেওয়ার অধিকার। রাস্তায় নেমেই রাখতে হবে সেই অধিকার। বামপন্থীরা বলছেন, জনতার পঞ্চায়েত গড়তেই বুথ রক্ষার লড়াইয়ে নামবে বাংলা।

Comments :0

Login to leave a comment