হারের ভয় ঢুকেছে বলেই দিদিমণি লক্ষী ভান্ডার বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন। উনি কি লক্ষী ভান্ডারের টাকা ওনার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দিচ্ছেন ? সোমবার কালনার বৈদ্যপুর ও নিভুজি মোরে অনুষ্ঠিত দুটি নির্বাচনী জনসভায় এই প্রশ্ন তোলেন যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। বৈদ্যপুরে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা শুকুল শিকদার। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা তাপস চ্যাটার্জি, সাহাদুল শেখ, হালিম শেখ প্রমূখ। মীনাক্ষী মুখার্জির এই সভা দুটিতে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে মোহাম্মদ শাহ ও আলিম শেখ। দুটি নির্বাচনী জনসভাতেই উপচে পড়া মানুষের ভিড় দেখা যায়। মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, কৃষিতে লাভ নেই বলেই কৃষিক্ষেত্রে ক্ষেতমজুরদের কাজ কমেছে।বামফ্রন্টের আদায় করে আনা ১০০ দিনের কাজও বন্ধ।
ফলে এই রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষ ভিন রাজ্যে যেতে বাধ্য হত হচ্ছেন। মানুষের হাতে টাকা নেই, কিন্তু দ্রব্যমূল্য দিন দিন বাড়ছে। মানুষ বুঝে গেছেন এসব কার জন্য হচ্ছে এবং কিসের জন্য হচ্ছে। তাই ২০১৮ সালের মত এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া চলবে না বলে হুঁশিয়ার দিয়েছিল। শুধু শাসক দলের বাধা নয়, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের বাধা অতিক্রম করেই মানুষ সংঘটিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই হুমকি অগ্রাহ্য করেছেন মানুষ। এবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ভোট গণনা কেন্দ্রে দেখে নেওয়ার। ওসব হুমকি-টুমকি দিয়ে কোন কাজ হবে না, কারণ মনোনয়ন যেমন আমরা দিতে পেরেছি, ভোট গণনাটাও আমরা করাতে পারবো। মীনাক্ষী মুখার্জি বলেছেন, একদিকে দিন দিন পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। এরপর কেন্দ্রের মোদী সরকার কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের জন্য স্মার্টকার্ড চালু করছে। বিদ্যুৎ মাশুল আপনাকে বিদ্যুৎ পোড়ানোর আগেই দিতে হবে। চাহিদা অনুসারে বিদ্যুতের দামও বাড়বে।
তিনি বলেন, লড়াই করতে হয় বেঁচে থাকার জন্য। লড়াই করতে হয় একটু ভালো থাকার জন্য। লড়াই করতে হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে ভালো থাকে। লড়াই করতে হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যূনতম পরিবেশ ও পরিকাঠামো গড়ে তুলতে। কিন্তু শাসক দলের চোর ডাকাতরা তাতে বাধা দিচ্ছে, নিজেরাই লুটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে। গ্রাম ও গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্য চোর ডাকাতদের হাত থেকে পঞ্চায়েতকে রক্ষা করে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
Comments :0