নভেম্বরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার তিন মাসে সর্বোচ্চ, ৫.৬ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় এবার খাদ্যের দাম বাড়ার হার ৮.৭ শতাংশ। বুধবার মূল্যবৃদ্ধির নিরিখেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ‘মোদীর গ্যারান্টির মানে মূল্যবৃদ্ধির গ্যারান্টি।’
মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নির্বাচনী জনসভায় ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ দিয়েছিলেন। বিজেপি’র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বিশ্বাসযোগ্য করতে নিজের নামে গ্যারান্টিই ছিল তাঁর প্রচারের অন্যতম আকর্ষণ। তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার গড়লেও হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যেই জয় হাসিল করেছে বিজেপি।
রমেশ বলেছেন, ‘‘বিজেপি আজকাল প্রধানমন্ত্রীর গ্যারান্টি দিচ্ছে। অন্য নিশ্চয়তা নিয়ে বলছি না। তবে গত সাড়ে নয় বছরে দেশ একটি নিশ্চয়তা পেয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির নিশ্চয়তা।’’ তাঁর দাবি, কেন্দ্রের ভুল নীতির কারণে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪৫ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে।
গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে বারবারই শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণে জিনিসপত্রের চড়া দামের তথ্যকে হাতিয়ার করে গিয়েছে বিজেপি-ও।
কেন্দ্রেরই তথ্য জানাচ্ছে, আমজনতা যে বাজার থেকে কেনাবেচা করেন সেই খুচরো বাজারেই খাবারের জিনিসে দাম বাড়ার হার ৮.৭ শতাংশ। সবিজ’র মূল্যবৃদ্ধি গত নভেম্বের তুলনায় এবার ১৭.৭ শতাংশ। ডালের দাম আরও ২০ শতাংশ বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামে নাকাল জনতা যদিও সরকারি তথ্যের অপেক্ষায় নেই। বাড়া-কমার হিসেবও করছেন না। সীমিত রোজগারে টেনেটুনে কিভাবে চলবে, আমজনতার আশঙ্কা তা নিয়েই।
কংগ্রেস নেতা বলেছেন, জিনিসের দাম আর যুবকদের কাজের মতো বিষয়ে সাফল্য নেই সরকারের। তাই নজর ঘোরাতে প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় আনা হচ্ছে।
Comments :0