RAM MANDIR VEG BHIWANDI

খাদ্যবিধি এবার ভিওয়ান্ডিতেও, নিরামিষে জোরাজুরিতে প্রশ্ন

জাতীয়

অযোধ্যায় রামমন্দিরের অনুষ্ঠান ঘিরে খাদ্যবিধি নিয়ে শাসন ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার ২২ জানুয়ারি আমিষে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আগেই। মহারাষ্ট্রের সরকারের কাছে একই আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি’র বিধায়করা। এ রাজ্যের ভিওয়ান্ডি নিজামপুর পৌরসভা মুরগি এবং পাঁঠার মাংসের পাশাপাশি ডিম ও মাছ বিক্রি না করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। 

থানে জেলার পড়ঘা গ্রাম পঞ্চায়েতও স্থানীয়দের কাছে আমিষ বিক্রি বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে। ভিওয়ান্ডি মহকুমার এই গ্রামেই কয়েকদিন আগে সন্ত্রাসবাদী ইসলামিক স্টেট’র সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে হানা দিয়েছিল জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ। 

উত্তর প্রদেশ সরকার আগেই নোটিশ জারি করে ঘোষণা করে দিয়েছে যে ২২জানুয়ারি আমিষ বা মদ, বিক্রি করা যাবে না। আমিষে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত ঘিরে বহু প্রশ্ন রয়েছে। হিন্দুদের বহু ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠান বহু রাজ্যেই সাড়ম্বরে পালিত হয়। কিন্তু তার জন্য খাদ্যে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজন হয় না। আরএসএস এবং বিজেপি যদিও নিরামিষ খাবার নিজেদের এক্তিয়ারে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলেও চাপিয়ে দিচ্ছে। 

মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ভিওয়ান্ডি নিজামপুর পৌরসভার প্রশাসক অজয় বৈদ্য বিবৃতিতে বলেছেন যে স্থানীয় পুলিশ এবং সাধারণ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় শান্তি কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। আলোচনার ভিত্তিতেই নিরামিষ খাবার বিক্রি বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। 

মহারাষ্ট্র সরকার ২২ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা করেছে। এ রাজ্যে সরকারে আসীন বিজেপি এবং এনসিপি ও শিবসেনার ভেঙে আসা অংশের জোট। তবে দিল্লির ‘আপ’ সরকারও ২২ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার দেশের সরকার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। সেখানে সরাসরি ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণ উল্লেখও করা হয়েছে। 

অন্য যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে অযোধ্যায় রামমন্দিরের এই অনুষ্ঠানের ফারাক রয়েছে। এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলা হলেও বাবরি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির স্লোগান সামনে রেখেই ভোট করেছে বিজেপি এবং আরএসএস। ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ভোটে ফায়দা তোলা কৌশলের বিরোধিতাও রয়েছে। এমনকি মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশাল সায়েন্সেস কর্তৃপক্ষকে নোটিশও জারি করতে হয়েছে। ‘টিস’ কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের জানিয়েছে, ওই দিন কোনও প্রতিবাদে অংশ নিলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আরেকদিকে বম্বে আইআইটি কর্তৃপক্ষ ওইদিনই ক্যাম্পাসের ভিতর ‘গোশালা’ এবং রামায়ন পাঠের অনুষ্টান ঘোষণা করেছে। 

নিরামিষ নিয়ে মহারাষ্ট্রে যদিও বিতর্ক শুরু হয়েছে জানুয়ারির গোড়াতেই। এনসিপি’র শারদ পাওয়ার অংশের বিধায়ক জিতেন্দ্র অওহদ বিতর্ক শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘রামচন্দ্র চোদ্দ বছর বনবাসে থাকলে কী’করে নিরামিষ খেয়ে কাটাবেন! তিনি আমাদের মতো বহুজন। তাঁকেও শিকার করে খেতে হয়েছে। রাম আমাদের মতো বহুজনদের। তিনি নিরামিষ খেতেন না।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment