Sun Stroke

গোঘাটে রোদে বেরিয়ে গরমে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

রাজ্য

দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁতেই গরমের মৃত্যু শুরু হয়ে গেল। হুগলীর গোঘাটে রোদে ছাগল চড়াতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মিলন দাস (৫৮)। ছাতা মাথায় মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 
মৃতের আত্মীয়া পরমা দাস জানিয়েছেন, গোঘাটের নকুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা ওই মিলন দাস। সকালে রোদের মধ্যেই তিনি ছাতা দিয়ে স্থানীয় পাঁচ বিঘা মাঠে ছাগল চড়াতে যান। মাথায় ছাতা থাকলেও তিনি দীর্ঘসময় ছাগল চড়ানোর সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঠের মধ্যেই তিনি পড়ে যান। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হতে থাকে।
মাঠে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার মানুষজন ছুটে এসে মিলন দাসকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা মিলন দাসকে পরীক্ষার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে ওই ব্যক্তির অত্যাধিক গরমের থেকে সান স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি হাসপাতাল। তবে দক্ষিণবঙ্গে যে লাগাতার তাপের দাপট বাড়বে তা নিয়ে বারংবার সতর্ক করে গিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন না থাকলে রোদে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলায় শুরু হবে তাপপ্রবাহ। হুগলীতেও দাবদাহের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিন ওখানকার দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিকে ছুঁয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকায় ঘাম কম হলেও শুষ্ক গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। কলকাতায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৪০ ডিগ্রির গোড়ায়। কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৬ ডিগ্রি। এই তাপমাত্রা গড় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। 
বৈশাখ না পড়তেই চৈত্রের গরম ৪০ ডিগ্রিকে ছুঁয়ে ফেলাটা বেশ অস্বাভাবিক। রোদের তেজে চোখ ঝলসে গেলেও বাংলার সেই ঘেমো গরম এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। বাতাসে জলীয় বাষ্প কমের জেরে ঘাম না হলেও দুপুরের পর থেকে গরম হাওয়া (লু) বয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই সময়ের গড় স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেড়ে গেলেই সেটাকে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি বলা হয়।
 

Comments :0

Login to leave a comment