প্রশাসনের মদতে রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কি ভাবে ব্যাপক সন্ত্রাস খুন ও বুথ দখল, গনণা হল দখল করে ভোট লুট করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করেছে। মাড়গ্রামে গননাকেন্দ্রে ভোট কর্মীদের লাঠি পেটা করেছে। দলদাস নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ এর জন্য দায়ী। অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী প্রশাসনের কর্তাদের দৃষ্টান্ত মূলক সাজা দিতে হবে। এদিন কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে একটি প্রতিবাদ সভায় এই অভিযোগ করেন বাম-কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
নানুর ব্লকে বাম-কংগ্রেস প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের ভোট গণনা কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া এবং গণনা কেন্দ্রে কারচুপি। পুলিশ প্রশাসনের দলদাসত্বের বিরুদ্ধে এবং পঞ্চায়েত ভোটকে প্রহসনের পরিনত করার প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেসের নানুর ব্লক কমিটির উদ্যোগে কীর্ণাহারে প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা হয়। এদিন সারা কীর্ণাহার বাজার মিছিল পরিক্রমা করে বাসস্ট্যান্ডে একটি পথসভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন, সিপিআই(এম) রাজ্য নেত্রী শ্যামলী প্রধান, মনোতোষ মজুমদার, পান্না চ্যাটার্জি, কংগ্রেস নেতা অভয় মজুমদার ও ছাত্র নেতা মইনুল হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই নানুর ব্লক জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস, ভয় ভীতি ও হুমকি দেওয়ার ফলে ২০৬ পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে মাত্র ৩৪ টি আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩৩ এর মধ্যে ১১টি এবং জেলা পরিষদের ৩ টির মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্ত ব্যাপক সন্ত্রাস ও হুমকি ও ভয় দেখিয়ে ১৭ টি আসন থেকে প্রার্থী পদ তুলে নিতে বাধ্য করায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। একই ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির ১১ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন আত্ম গোপন করে টিকে ছিলেন। জেলা পরিষদের দুটি আসনের প্রার্থী প্রাণের ভয়ে আত্মগোপন করে টিকে ছিলেন। সেই সব আসন গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ফলে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন গননার দিন পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডারা গনণা কেন্দ্রে ঢ়ুকতে বাধা দেয়। কারণ তারা আগেই আঁচ করেছিল ওই বুথগুলি বাম-কংগ্রেস জোট জিতে যাবে। ভোট গনণা হয়েছিল বিডিও'র টেবিলে। শাসক দলের গুন্ডারা সেখানে ব্যাপক কারচুপি করে আমাদের প্রার্থীদের হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ। এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানেছেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
Left-Cong Rally
প্রশাসনের মদতে ভোট লুটের প্রতিবাদে কীর্ণাহারে সভা-মিছিল
×
Comments :0