সুভাষ পারিয়াল
বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস সমঝোতার পক্ষে যত বেশি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন তত মোদি-মমতার ছটফটানি বাড়ছে। মানুষ শান্তি চাইছেন। তাই বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের বেছে নিচ্ছেন। বুথ আগলে শান্তিতে ভোট নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দেগঙ্গায় একথা বলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন তিনি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনিত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চ্যাটার্জির সমর্থনে প্রচার মিছিলে অংশ নেন। রাজারহাটে জনসভাও করেছেন সেলিম।
সেলিম বলেছেন, ‘‘প্রত্যাখ্যানের মুখে পড়বেন বুঝতে পারছেন মোদী-মমতা। দু’জনেই তাই আক্রমণ করছেন ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চকে।’’ তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘‘মোদী দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে খুন করছে আর মমতা এরাজ্যের গণতন্ত্র কে খুন করছেন। তাই নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বাম এবং কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠান। যারা সোচ্চারে খেটে খাওয়া মানুষের কথা, বেকার যুবকদের কথা তুলে ধরতে পারবেন। ভোটের দিন বুথ আগলে রাখুন। যেন সকলে ভোট দিতে পারেন।’’
বিজেপি নেতা নরেন্র্য মোদী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রচার ঘিরেও প্রশ্ন তোলেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বেকারির প্রশ্ন এড়িয়ে মোদী নিজেকে অবতার সাজাতে চাইছেন। আর মমতা নিজেকে ফেরেস্তা সাজাতে চাইছেন। কিন্তু মানুষ কাজ চাইছেন, চাইছেন জিনিসপত্রের দাম কমুক। মানুষ একটু শান্তিতে থাকতে চাইছেন। শান্তি চাইছেন বলেই মানেই বাম-কংগ্রেসের পক্ষে আবহওয়া তৈরি হচ্ছে।’’
এদিন দেগঙ্গায় প্রচার মিছিল লাল পতাকা ও লাল বেলুনে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। এদিন হাজারখানেকের বেশি মানুষের স্বতঃফূর্ত মিছিল প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে দেগঙ্গার কার্তিকপুরে এসে শেষ হয়। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে কাজের দাবিতে, ভাতের দাবিতে, শান্তির পক্ষে বামপন্থী প্রার্থীকে ভোট দিন।
মিছিলে মহম্মদ সেলিম ছাড়াও সিপিআই(এম) নেতা সোমনাথ ভট্টাচার্য, বাবুল কর, আহমেদ আলি খান, পাপড়ি দত্ত এবং প্রার্থী সঞ্জীব চ্যাটার্জি অংশ নেন।
মিছিল বেড়াঁচাপা দিয়ে যাওয়ার পথে তৃণমূলের একটি প্রচার সভা থেকে উত্তেজনা মূলক স্লোগান বামপন্থীদের লক্ষ্য করে মাইকে দেওয়া হতে থাকে। সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হলেও বামপন্থীরা সেই ফাঁদে পা দেননি। মানুষের ভিড় দেখে গুটিয়ে যায় তৃণমূল।
বারাসতের ৭টি বিধানসভা এলাকায় সকাল থেকে আটো, টোটোতে লাল পতাকা বেধে মাইকে প্রচার হয়।
রাজারহাট চৌমাথায় জনসভায় সেলিম বলেন, তৃণমূল- বিজেপি’র সেটিং তত্ব্ব ভোটের সময় প্রমাণিত হয়েছে। মোদি মমতার নকল যুদ্ধ দেখেছেন। কিন্তু মোদী শেষ দফার প্রচারেও ডায়মন্ডহারবারে ভাইপোর এলাকায় যায় নি। কাকদ্বীপে ভাইপোর বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।
Comments :0