দীপশুভ্র সান্যাল- জলপাইগুড়ি
ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা, করলা সহ জেলার বিভিন্ন নদীগুলো। বৃষ্টি কমলেও পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে তিস্তার জল বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা জলপাইগুড়িতে।
সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি সূত্রে জানা গেছে তিস্তার মেখলিগঞ্জ এবং জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় শনিবার লাল সর্তকতা জারির পাশাপাশি তিস্তার দোমাহানিতে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি রয়েছে। করলার জলে এদিনও জলপাইগুড়ির বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। গজোলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। তবে শনিবার সকাল থেকে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে জলপাইগুড়িবাসীর।
এদিন সকালে করলা নদী সংলগ্ন জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড পরেশ মিত্র কলোনি জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা স্থায়ী নদী বাঁধের দাবি জানান। এদিন তিস্তা ব্যারেজ গজোলডোবা থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে শনিবার সকাল ছটা এবং সাতটায় জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল সকাল ছয়টায় ৩০৩৮.৬০ এবং সাতটায় ৩০২৯.০২ কিউমেক।
শুক্রবার রাতের তুলনায় জল খানিকটা কমলেও বাড়ি রাস্তায় জল এখনও নামে নি। চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি পুরসভার পাশাপাশি আজও জলমগ্ন জেলার বিভিন্ন ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। তিস্তার জল ক্রমাগত বাড়ায় চিন্তায় রয়েছেন তিস্তা পারের নিচু এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষরা।
Comments :0