ব্রিটেনে অভিবাসীদের ওপর হিংসার নিন্দা জানালো ইন্ডিয়ান ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং এসএফআই’র ব্রিটেন শাখা। বিদ্বেষের শক্তিকে প্রতিহত করতে
সব প্রগতিশীল শক্তিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুই সংগঠন।
গত ২৯ মে ব্রিটেনের সাউথপোর্টে তিন শিশুকে হত্যা করা হয়। হামলাবাজের আক্রমণে আহত হয় আরও দুই শিশু। অন্য কয়েকজনও আহত হন। ঘটনার নিন্দা হয় সর্বত্র। কিন্তু এই ঘটনাকে সামনে রেখেই ঝাঁপিয়ে পড়ে উগ্র অভিবাসী বিদ্বেষী অতি দক্ষিণ পন্থী বিভিন্ন অংশ। অভিবাসীদের ওপর হামলা চলতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে এই দাঙ্গাবাজদের একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, বিচার চলছে।
দুই সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিন্দাজনক হত্যাকাণ্ডের পর আমরা দেখেছি ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে অভিবাসীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সাউথপোর্টে অতি দক্ষিণপন্থী উন্মত্ত জনতা মসজিদে আক্রমণ চালানো চেষ্টা করেছে। জাতিবিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে উদ্বেগজনক মাত্রায়। অর্থনীতির সঙ্কট, খরচ বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার দায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদরা অভিবাসীদের ঘাড়েই চাপাচ্ছে। অভিবাসন বন্ধ করার স্লোগানও কিছু বাড়তি সমর্থন পাচ্ছে। মনে রাখা দরকার, ব্রিটেনের উন্নয়নে এই অভিবাসী শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনে ব্রিটেনই উপনিবেশগুলিকে শোষণ করেছে। তার দায় গ্রহণ করে না ব্রিটেনের শাসকশ্রেণি। আজ অর্থনৈতিক সঙ্কট আড়াল করতে অতি দক্ষিণপন্থী স্লোগান এবং প্রচারকে আঁকড়ে ধরছে তারা।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে মঙ্গলবারই ব্রিটেনের লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার বিশেষ বৈঠক করেছেন ফের দাঙ্গার আশঙ্কায়। দাঙ্গাদমন বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী এবং পুলিশ আধিকারিকদের তৈরি থাকতে বলেছেন তিনি। ব্রিটেনে নির্বাচনে সদ্য জয়ী হয়েছেন স্টার্মার। কিন্তু অতি দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলিও সমর্থন বাড়িয়েছে। লেবার পার্টিও অভিবাসী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়নি।
এখন যদিও স্টার্মার বলছেন যে যা চলছে তা কোনও প্রতিবাদ নয়। সংগঠিত লুটতরাজ। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ওয়েস্ট অব স্কটল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লন্ডন ক্যাম্পাসে দক্ষিণ এশিয়ার ছাত্রদের প্রতি বৈম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে দিনভর।
BRITAIN VIOLENCE SFI
অভিবাসী বিদ্বেষ-হিংসা অব্যাহত ব্রিটেনে: নিন্দা ছাত্র, শ্রমিকদের
×
Comments :0