কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণাই করতে হলো সাক্ষী মালিককে। অলিম্পিক জয়ী এই মহিলা কুস্তিগির সরে দাঁড়ালেন কুস্তি ফেডারেশনে নির্বাচিত নতুন সভাপতির কারণে। সাক্ষী বলেছেন, মহলি কুস্তিগিরদের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের কোনও অনুগামীকে সভাপতি পদে মানা যায় না।
ব্রিজভূষণ কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতিই কেবল ছিলেন না। বিজেপি’র প্রতাপশালী সাংসদও। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে টানা রাস্তায় বসে থেকেছেন সাক্ষী মালিক, বজরঙ পুনিয়ারা। দিল্লি পুলিশ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সঞ্জয় সিং। ব্রিজভূষণের অনুগামীই কেবল নয়, আরএসএস’র ঘনিষ্ঠ বলেই বারাণসীতে পরিচিত তিনি। নির্বাচনের পরই সরে দাঁড়ান সাক্ষী। অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার সময় সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মহিলা কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল দেশের বিভিন্ন অংশ। কৃষকরা দলে দলে এসে সংহতি জানিয়েছিলেন তাঁদের লড়াইয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর ‘বেটি বাঁচাও’ স্লোগানকে ভণ্ডামি আখ্যা দিয়েছিল আন্দোলন। কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন আটকে ছিল, আন্তর্জাতিক কুস্তি ফেডারেশনের চাপের কারণে শেষে করাতে হয়েছে নির্বাচন।
সাক্ষী মালিক বলেছেন, ক্রুড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুকে অনুরোধ করেছিলাম মহিলা সভাপতি করুন। মহিলাদের হেনস্তা কমতে পারে তাতে। সভাপতি তো দূর পুরো কমিটিতে কোনও মহিলা নেই।
আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়েই পদক জিতেছেন বজরঙ, সাক্ষীরা। তাঁদের দাবির মুখে ব্রিজভূষণের ছেলে এবং জামাতা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান বলে খবর। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখা হয়েছে ব্রিজভূষণেরই ঘনিষ্ঠকে দাঁড় করিয়ে। সাক্ষী যদিও বলেছেন, ‘‘লাড়াই থেমে থাকবে না। নতুন প্রজন্মকেও যোগ দিতে হবে লড়াইয়ে।’’
SAKSHI MALIK RETIRES
কুস্তি ছাড়লেন সাক্ষী মালিক, হেনস্তায় জড়িতরাই সর্বেসর্বা
×
Comments :0