SURI RALLY

লুট, বিভাজনে দায়ী দু’দলকেই হারানোর আহ্বান

রাজ্য জেলা

SURI RALLY সিউড়ির জনসভায় বলছেন মহম্মদ সেলিম। মঞ্চে অধীর চৌধুরী

বালি খাদান, পাথর খাদান, কয়লা পাচার- সব লুটের ভাগ এঘাট ওঘাট ঘুরে কালিঘাটে পৌঁছেছে। সেই টাকা লুটের বন্দোবস্ত পোক্ত করতেই তো জেলায় জেলায় তাঁবু ফেলছেন মুখ্যমন্ত্রী ভাইপো। 

বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের ডাকে জনসভায় একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। 

চৌধুরী বলেন, ভোটের আগে এনআরসি’র মতো বিভাজনের বিষয় তোলে তৃণমূল এবং বিজেপি। নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নেই। তাই পাশ হলে সরকার কিছু করতে পারছে না। ভোটের আগে বিভাজন করছে।  

বক্তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল এবং বিজেপি’র লুটের রাজনীতিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন যে দু’দলই ভোটের জন্য মানুষের মধ্যে বিভাজন করে। মানুষকে ধোঁকা দেয়। সেই রাজনীতি সম্পর্কে সতর্ক থাকার আবেদনও জানান তাঁরা। কাজ, শিক্ষা, রোজগারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।  

সেলিম বলেছেন, অভিষেক দু’ মাসের জন্য কর্মসূচি নিয়েছেন। কারণ আদালত বলে দিয়েছে যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জেরা করতে বাধা নেই। আমরাও দাবি করছি কয়লা পাচার, বালি, পাচার, সোনা পাচারের টাকা- সবের জেরা করতে হবে। যত অপরাধী আছে সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে জেরা করতে হবে। না হলে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে। 

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি বদলানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের গিয়েছিলেন অভিষেক। প্রাথমিকে দুর্নীতির দু’টি মামলায় বিচারপতি বদলেছে। তবে নতুন বিচারপতিও অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, তদন্তে সহযোগিতা করতে বাধা কোথায়। বৃহস্পতিবার অভিষেকের পক্ষে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জমা পড়েছে।  

সেলিম বলেন, আমরা বারবার বলছি এখনই পঞ্চায়েত ভোট কর। মানুষ তৃণমূলকে তাড়িয়ে দেবেন। তৃণমূল ভোট পিছোচ্ছে। বিজেপিও বুঝেছে অবস্থা ভাল নয়।  তাই ভোট পিছানোর জন্য আদালতে গিয়েছিল। আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। 

আসলে লুটের বন্দোবস্ত কায়েম রাখতেই তৃণমূল আর বিজেপি। মানুষে মানুষে ভাগাভাগি করতে চাইছে। দিল্লিতে দিদির লুট, বাংলায় মোদির লুট। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টিনেতা সুপ্রিয় রায়, সঞ্জয় প্রামাণিক, সঞ্জয় হেমব্রম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মধুসূদন চক্রবর্তী। পার্টিনেতা মঙ্গল হেমব্রমের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে অথচ পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েতের সভাপতি, বিডিও কারো নামে এফআইআর করছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গরিবের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে একে অপরকে সাহায্য করছে। কয়লাখনি বন্ধ করে বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দিতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের তোলা আদায়ের কারণে রানিগঞ্জের মঙ্গলপুরের কারখানা বন্ধ হচ্ছে। বেকাররা কাজ পাচ্ছেন না। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকেও কাটমানি নিচ্ছে পঞ্চায়েতের ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। লুটেরাদের পঞ্চায়েত থেকে হটিয়ে জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment