প্রবীর দাস
লুটের রাজত্বের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে। তৃণমূল নেতা ‘পলাতক’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন মানুষ। অভিযোগ, শ’য়ে শ’য়ে বিঘা জমি তাঁদের থেকে কেড়েছে তৃণমূলের এই নেতা।
সন্দেশখালি থানার ৮ নম্বর কাছারি স্যুইচ গেট এলাকার বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করলেন। এই সমস্ত গরিব মানুষের জমি কেড়ে নিয়েছে শেখ শাহজাহান। জমি ফেরানোর দাবিতে চলছে আন্দোলন।
প্রায় ২০০-২৫০বিঘা জমি বেহাত হওয়ার অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। সোমবার তাঁরাই দেখালেন বিক্ষোভ। কিন্তু এদিনই প্রথম নয়। এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই লুটের রাজত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে একের এক বিক্ষোভ।
পুলিশের খাতায় শাহজাহান পলাতক। তবে অভিযোগ, প্রশাসনের মদত না থাকলে এভাবে ‘পালিয়ে’ থাকতে পারে না তৃণমূলের এই নেতা। আবার শাহজাহানের সই নিয়ে আদালতে জমা পড়ছে দরখাস্ত। তল্লাশিতে যাওয়া আধিকারিকদের ওপর হামলার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান।
এর আগে আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখান সন্দেশখালি-২ ব্লকের দাড়িরজঙ্গল মৌজায় অভিযুক্ত তৃণমূলী নেতাদের জমি লুটের বিবরণ হাজির করছেন বাসিন্দারাই। দাড়িরজঙ্গল মৌজার ৭ নম্বর পেত্নি ঘোলায় ২০০-২৫০ বিঘা জমি জোর খাটিয়ে দখল করেছে শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দার। ৮ নম্বর কর্ণখালিতে ৮০-৯০ বিঘা চাষযোগ্য জমি শেখ শাহজাহানের দখলে।
দখল করা জমিতে নদীর বাঁধ কেটে, সরকারি স্লুইস গেট ব্যবহার করে ওই সমস্ত চাষযোগ্য জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষ চলছে তিন বছর ধরে। আগে বছরে দু’বার এই সমস্ত জমিতে খালের মিষ্টি জল ব্যবহার করে আমন ও বোরো ধানের চাষ হতো। খালগুলিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন মৎসজীবীরাও। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে দাড়িরজঙ্গল এলাকায় থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা ‘পিএইচই’-র পাম্প হাউস থেকে সরাসরি পানীয় জল পাইপ দিয়ে টেনে মিষ্টি জলের মাছচাষ হচ্ছে সন্দেশখালি থানার নাকের ডগায় এই এলাকায়।
শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ বিক্ষোভ দেখান মাছ ব্যবসায়ীরা। কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়ার ঘোষপুরের কাছে একটি বাগদা মাছের কোম্পানিতে মাছ সরবরাহ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার বাগদা মাছের এজেন্টরা।
Comments :0