Inspiration

তিনি ‘অনুপ্রেরণা’, সব জানেন

ফিচার পাতা

দুর্নীতি, এসএসসি, তৃণমূল

-রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। ২২জুলাই গভীর রাতে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার ইডি’র হাতে।
-এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে নজরদারির জন্য তৈরি কমিটি প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা এবং এসএসসি’র সচিব অশোক কুমার সাহা গ্রেপ্তার সেই নিয়োগ দুর্নীতিতেই, সিবিআই’র হাতে। ১০ আগস্ট নিজাম প্যালেস থেকে।
-পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতেই সিবিআই’র হাতে গ্রেপ্তার ১৫ সেপ্টেম্বর।
-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই ১৯ আগস্ট সিবিআই’র হাতে গ্রেপ্তার এসএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য।
-এরপর প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলী বিধায়ক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, গত ১১ অক্টোবর।
পশ্চিমবঙ্গ মমতা ব্যানার্জির ‘অনুপ্রেরণায়’  শিক্ষাক্ষেত্রের চেহারা তাহলে চুম্বকে কী দাঁড়ালো?
শিক্ষামন্ত্রী থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, এসএসসি’র চেয়ারম্যান থেকে সচিব, শীর্ষ আধিকারিক-টাকার বিনিময়ে চাকরির দুর্নীতিতে একে একে গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। 
মমতা ব্যানার্জির সরকারে শিক্ষাক্ষেত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মুখই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত! তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি কোন স্তরে পৌঁছেছে তা যেন এই একটি ছবিতে স্পষ্ট। এক লজ্জার ছবি।
তারপরেও নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার ও দলের কোনও ভূমিকা নেই এমন দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘যদি কেউ অন্যায় করে থাকে সেটা তার দায়িত্ব, সরকার ও দল এরসঙ্গে কোনোভাবে জড়িত থাকবে না।অযথা আমার গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করলে, আলকাতার কিন্তু আমার হাতেও আছে’।
তাতেই থামেননি। হাজার হাজার বেকার, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এই ভয়াবহ প্রতারণার পরেই দুর্নীতির পক্ষে অবলীলায় তাঁর সাফাই- ‘দশটা কাজ করতে গিয়ে একটা ভুল হলে সেই ভুলটাকে আরও বেশি করে দেখানো হচ্ছে। রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স, একথা তো নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন। ভুল করার অধিকার, সেটাও একটা অধিকার। যে কাজ করে সে ভুলও করে। যে কাজ করে না সে ভুলও করে না। কোথাও একটা কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে।’
অর্থাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া চললে নিয়োগে দুর্নীতিই হবে- সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রীর। 
এমন হাল্কা কথা মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বলে মিম হতে পারে, রসিকতা হতে পারে তবে আসলে এটা একটা কৌশল- তদন্তে গুরুতর প্রভাব ফেলার কৌশল। একের পর গ্রেপ্তারির পরেও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা,মন্ত্রী, আধিকারিকদের জেল হেপাজতে থাকাকালীনই বার্তা দেওয়া, প্রশাসনের শীর্ষ মাথা কিন্তু আছে তোমাদেরই পাশে ফলে জেরায় কতটা মুখ খুলবে আর কতটা খুলবে না সেই ইঙ্গিত পরোক্ষে দিয়ে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর আলবাত জানেন এই তদন্তের শেষ স্টেশন কোথায়! তাই ‘রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স’- বলতে হয়।
তবে সব ছাপিয়েই যে কোন দুর্নীতি, তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী বিধায়কদের অপরাধের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর সহজতম ক্যাচলাইন— আমি তো জানতাম না!
২২জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে পার্থ চ্যাটার্জির গেপ্তার হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরেই বিশিষ্টজনদের নিয়ে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘এত টাকা উঠল আমি তো জানবো! কোত্থাও থেকে জানতে পারলাম না’!

 *******************************

দলের সর্বময় নেত্রী, সরকারেরও। কিন্তু বিপদে পড়লেই ‘আমি জানতাম না’ বলে বেবাক দাবি করেন বসেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ ২০১১ সালে সরকারের আসার পর থেকে এরাজ্যের বুকে সবকটি বড় দুর্নীতিতেই কোনও না কোনোভাবে ওনার ‘অনুপ্ররণা’র স্বাদ-গন্ধ-স্পর্শ সবই মিলেছে।
পোখরান বিস্ফোরণের খবরও আগাম তিনি জানতে পারেন। সিপিআই(এম) টালার ট্যাঙ্কে বিষ মিশিয়ে দিতে পারে, সেই খবরও তার কাছে ছিল। আবার তদন্তের আগেই পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণ হয়নি তাও জেনে গিয়েছিলেন। ধর্ষণের পরে খুন হওয়া হাঁসখালির স্কুল ছাত্রীর লাভ অ্যায়েফার্সের কথাও জানতেন তিনি। মধ্যরাতে পুলিশের হাতে খুন হওয়া বামপন্থী প্রতিবাদী ছাত্র আনিস খান নাকি ‘তৃণমূলের ছেলে’ তাও তিনি আগেভাগে জানতেন!
অথচ ২০১৩ সালে বাংলা নববর্ষ, ১ বৈশাখে সারদার একটি চ্যানেলে গানের মাঝে চোখের জল দেখার আগে তিনি নাকি জানতেই পারেননি চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির কথা! অথচ তাঁর দলের বর্তমান মুখপাত্র পুলিশি ঘেরাটোপে একাধিকবার দাবি করেছিলেন ‘মমতা ব্যানার্জি জানতেন চিট ফান্ডের কথা, জানতেন সারদার কথা। কেউ যদি সবথেকে বেশি বেনিফিশারি হন চিট ফান্ডকাণ্ডে তবে তা মুখ্যমন্ত্রী।’ মমতা ব্যানার্জির ছবি সারদার ‘গুডইউল’এ পরিণত হয়েছিল। ১ বৈশাখের প্রায় সপ্তাহখানেক আগে তাঁর দলের তৎকালীন সাংসদ ও শীর্ষনেতার সঙ্গে সারদা কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ডের বৈঠক হয়েছিল। তারপরেই ‘ফেরার’ ছিলেন সুদীপ্ত সেন। সারদা, রোজভ্যালির দুই কর্ণধারই প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন ২০১২ সালের মার্চ মাসে ডেলোয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের গোপন মিটিংয়ের কথা।
অথচ উনি কিছুই জানতেন না।
নারদ ঘুষকাণ্ডও নাকি জানতে পারেননি আগে। বলেছিলেন ‘আগে জানলে প্রার্থী করতাম না’। ২০১৬’র ভোট। সেই হাত পেতে ক্যামেরার সামনে ঘুষ নেওয়া নারদ অভিযুক্তরাই তারপর ২০১৯’র লোকসভা ভোট, ২০২০’র কলকাতা কর্পোরেশন ভোট, ২০২১’র বিধানসভা ভোটে শুধু প্রার্থী হননি, জেতার পরে মন্ত্রী, সাংসদ, মেয়রও হয়েছিলেন বেবাক।
তবে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকতার চাকরি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন, জেলায় জেলায় অবৈধ নিয়োগ চক্র ছিল এসব কিছু না জানলেও মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বেশ জানতেন অনুপ মাঝি ওরফে লালা কে, কবে তার ডেরায় তল্লাশি হচ্ছে!
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর। কয়লা পাচারকাণ্ডে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোলের ৩০জায়গায় সেদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই, সকাল থেকেই। সেই তল্লাশির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী দুপুরেই রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তোপ দাগলেন— বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে সিআরপি নিয়ে রেইড হচ্ছে! কী প্ল্যান রে বাবা! 
সেদিন রাজ্যে বিজেপি’র কর্মসুচিতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! লালার ঠিকানায় তল্লাশি পরে সেদিনই আবার দিল্লিতে অমিত শাহ পুত্র জয় শাহকে ফোন করে করোনার সময় তাঁর বাবাকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পড়ার পরামর্শ নাকি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে অমিত শাহ, দিল্লিতে তাঁর পুত্রকে ফোন করে বাবাকে মাস্ক করার পরামর্শ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! নাকি আসলে লালার ঠিকানায় সিবিআই তল্লাশিতে সেদিনই বুঝতে পেরেছিলেন স্নেহের কেষ্ট থেকে ভাইপো’র ভবিষ্যৎ!
এক কয়লা মাফিয়ার ডেরায় তল্লাশি হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী অথচ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কলকাতার রাস্তায় অবস্থান করা বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় না, উৎসবের মধ্যেই তাঁর দলের পৌরসভার, বালি মাফিয়াদের নদীর গতিপথ বদলের পরিণতিতে মালবাজারে আটজনের মৃত্যুর পরেও একটিও শব্দ শোনা যায় না তাঁর মুখ থেকে।

         ********************************
গোরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষে খোলাখুলি দাঁড়িয়েছেন তিনি। ‘বীর‘বলে সম্বোধন করে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ উনি জানতেনই না তাঁর সরকারের কোটি কোটি টাকা রয়্যািলটির ক্ষতি করে কয়লা, গোরু পাচার চলছে বেমালুম! অনুব্রতকে ‘বীর’ বলতেই হবে কেন না অনুব্রত যোগ সরাসরি তদন্তকে নিয়ে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডে শান্তিনিকেতন ভবনের মালিক পর্যন্ত! প্রতি মাসেই কয়েকশো কোটি টাকা ‘দক্ষিণা’ হিসাবে বোলপুরের নীচুপট্টির অট্টালিকায় ঢুকতে তার একটা বড় অংশ একাধিক গন্তব্যে বিশেষত দক্ষিণ কলকাতায় পৌঁছাতো। সেই মানি রুট-ই নাগাল পাওয়া অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পরে ওনার শঙ্কা বাড়িয়েছে।
গোরু-কয়লা পাচারের টাকা মিশেছে একটি সূত্রেই। দুটি কারবারের টাকার একটা বড় অংশ হিসাবেই একাধিক ভুয়ো সংস্থা হয়ে পৌঁছেছে সিঙ্গাপুরের ভাইপো সাংসদের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, শ্যালিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারি কী তাই রক্তচাপ বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ? পরিবারের স্বার্থরক্ষায় ? 
গোরু পাচারের টাকা খেটেছে হক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, হক মার্কেন্টাইল প্রাইভেট লিমিটেড এবং অনন্ত ট্রেডকম প্রাইভেট লিমিটেড— অন্যতম এই তিনটি সংস্থায়। প্রথম দুটি সংস্থার ঠিকানা কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট। তৃতীয় কোম্পানির ঠিকানা  দক্ষিণ কলকাতার ধর্মদাস রো। কালীঘাট মন্দির লাগোয়া। ধর্মদাস রো’তেই সেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ পলাতক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রের বাড়ি।
আবার সেই বিনয় মিশ্র প্রসঙ্গই চলে এসেছে প্রাইমারি টেটে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে!
ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকেই গত জুলাই মাসে ইডি’র তল্লাশিতে উদ্ধার হয় একটি চিঠি। সেই চিঠিতেই ৪৪ জন অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথা পিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। সেই চিঠির প্রাপক ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই  চিঠি পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাঁর নাম, ঠিকানাও সেখানে উল্লেখ রয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী বিলকুল জানতেন সব কিছুই। টাকা নিয়েই চাকরির আয়োজন চলছিল শিক্ষা দপ্তরে। শুধু কী তাই, ঐ চিঠিতেই উল্লেখ ছিল, চাকরির বিনিময়ে সেই টাকা নিয়েছিলেন ‘তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অন্যতম এক সাধারণ সম্পাদক’! সময়কালই বলছে সেটা বিনয় মিশ্র! অভিষেক ব্যানার্জির এই চিটিংবাজ, প্রতারক ব্যবসায়ীকে ঐ পদে বসিয়েছিলেন।
    **********************
তাহলে কী দাঁড়ালো? এরাজ্যে নতুন সরকারি ‘শৌচালয়’ও যার অনুপ্রেরণা ছাড়া হয় না, তাঁর মদত, তাঁর অজ্ঞাতসারে স্বাধীনতার পরে সর্ববৃহৎ নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে গোরু-কয়লা পাচারের কাণ্ড হয়েছে তা কট্টর তৃণমূলীদেরও বোঝানো কঠিন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ডি-লিট দেওয়ার প্রস্তাবও এনেছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য-ই। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ, ছাত্রজীবন থেকে পরিচিত- এই ক্যাচলাইনই ছিল মানিক ভট্টাচার্যের ইউএসপি। মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ ছাড়া কোনও কাজ করি না— পার্থ চ্যাটার্জির এমন মন্তব্য গত দশ বছরে হাজারোবার শুনেছেন রাজ্যবাসী। মমতা ব্যানার্জিই কথাই আমার জীবনের শেষ কথা— প্রকাশ্যেই বলতেন অনুব্রত মণ্ডল। 
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া যারা কোনও কাজ করতেন না সেই তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বানালো, হাজার হাজার ছেলেমেয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করল, সীমান্তে গোরু পাচার করে স্ত্রী, মেয়ের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানলো। অথচ মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না কিছু!
নাকি উনি জানতেন বলেই দুর্নীতির জাল নিশ্চিন্তে ছড়াতে পেরেছেন তাঁকেই অনুপ্রেরণা হিসাবে দাবি করা তৃণমূলী নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করা! 
ঘটনা পরম্পরাতেই স্পষ্ট এরাজ্যের এখন দুর্নীতির সবথেকে কাছাকাছি সমার্থক শব্দ হলো ‘অনুপ্রেরণা’ই।

Comments :0

Login to leave a comment