Jibantala Sujan Chakrabarty

জীবনতলায় অস্ত্রভাণ্ডার: তৃণমূল মানেই বেআইনি কারবার, বললেন সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

জীবনতলায় বিপুল গুলি উদ্ধারের তদন্তে ধৃত দু’জনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ মিলেছে। শনিবার বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। ধৃতদের মধ্যে আসিফ ইকবাল গাজী ওরফে বাপ্পা ও আব্দুল সেলিম গাজী ওরফে বাবলু উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের মুরারীশাহ এলাকার বাসিন্দা। আশিক ইকবাল গাজী তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য। আব্দুল সেলিম গাজীর স্ত্রী-ও তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য।
রবিবার সংবাদমাধ্যমে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, বোমা, গুলি, কার্তুজের রাজত্ব চলছে পশ্চিমবঙ্গে। মীনাখা, জীবনতলা, ক্যানিংয়ে এক অবস্থা। প্রতিটি ঘটনার পিছনে তৃণমূলের নেতারা। গুলি, বন্দুক ব্যবহার করা হচ্ছে দলের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে। বিরোধী বলে কেউ থাকবে না। তৃণমূলে-তৃণমূলে দ্বন্দ্ব। ফলে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ধরেছে অপরাধীদের। অন্য কারও অভিযোগ থাকলে তো ধরবে না!  
উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই হাসনাবাদে এই দুই পরিবারের লোক বেপাত্তা। দু’টি বাড়িই তালা বন্ধ। বাড়িতে কেউ নেই। তবে এদের দু’জনের সম্পর্কে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে নারাজ। তবে এদের দু’জনের সঙ্গেই তৃণমূলের যোগ রয়েছে। 
চক্রবর্তী বলেন, এর আগে তো অস্ত্রের কারখানা পাওয়া গিয়েছে ক্যানিং, ভাঙড়, বসিরহাট, মীনাখায়। অস্ত্র কারখানা, বন্দুকের কারখানা, তার সঙ্গে ডালহৌসির বৈধ দোকানের সম্পর্ক। যারা ধরা পড়ল তাঁরা তৃণমূলের সদস্য এবং তৃণমূল সদস্যার স্বামী। তৃণমূল মানে বেআইনি কারবারের ব্যবস্থা। 
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪পরগনার জীবনতলায় ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে এসটিএফের গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় চারজনকে। তাদেরকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা ফারুক মল্লিককে শনিবার গ্রেপ্তার করেন এসটিএফ’র গোয়েন্দারা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার ডবল ব্যারেল বন্দুক ও কয়েক রাউন্ড কার্তুজ। একটি সূত্র মারফত জানা যায় ফারুক মল্লিক হাড়োয়ার বাসিন্দা। 
জীবনতলায় ১৯০ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৫। জানা গিয়েছে জীবনতলার বাসিন্দা হাজি রশিদ মোল্লার থেকে অস্ত্র কিনেছিল এই ফারুক। হাজি রশিদ মোল্লাকেও ধরেছে এসটিএফ।

Comments :0

Login to leave a comment