PENSION SCAM

পঞ্চায়েতের মৃত রিপোর্টের খেসারত গুনছেন অশীতিপর বৃদ্ধ

জেলা

Old Age Allowance ক্যাপশন — কুলপির তেলে গ্রামে বাড়ির বারান্দায় বিজয় কুমার হাতি।

অনিল কুণ্ডু - কুলপি


জীবিত ব্যক্তিকে মৃত উল্লেখ করে বার্ধক্য ভাতার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ায় প্রমাদ গুনছেন বৃদ্ধ। তাঁর নাম বিজয় কুমার হাতি। বয়স ৭৯। বাড়ি কুলপি ব্লকের ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামে। বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে বর্তমানে তিনি আক্রান্ত। জীবিত বিজয় কুমার হাতিকে মৃত উল্লেখ করে বার্ধক্য ভাতার তালিকা থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এ হেন কান্ডজ্ঞানহীনতায় বার্ধক্যভাতা দেওয়ার দাবিতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছেন অশীতিপর বৃদ্ধ বিজয় কুমার হাতি। তা সত্বেও ঘুম ভাঙেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন থেকে কুলপি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের। 


হতদরিদ্র পরিবার। মাটির দেওয়ালের উপর খড়ের ছাউনির একচিলতে ঘরে বসবাস করেন তিনি। তাঁর স্ত্রী কানন বালা হাতি প্যারালাইসিস অসুখে আক্রান্ত। তাঁর বয়স ৬৭। দুয়ারে সরকারে তিনি বার্ধক্য ভাতার আবেদন করলেও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা। তাঁদের পরিবারের আয় বলতে নিজেদের ছোট্ট একটি পানের বরোজ। বার্ধক্যভাতা বন্ধ হওয়ায় ঘুম ছুটেছে বিজয় কুমার হাতির। মাসে এক হাজার টাকা করে তিনি বার্ধক্য ভাতা পেতেন।  ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েত তাঁকে মৃত বলে উল্লেখ করে বার্ধক্য ভাতার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে। গত ২১ মাস ধরে তিনি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন এমনকি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে বারে বারে দরবার করেছেন। সকলেই দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখনো কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ন্যায্য ভাতা প্রাপক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। পঞ্চায়েতের মৃত রিপোর্টের খেসারত গুনছেন অশীতিপর বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবার।  গত ২৩ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ওই  আবেদনে তিনি লিখেছেন— জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে বার্ধক্য ভাতা বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা। এমনকি ওই আবেদনে লেখা হয়েছে গত ২০২২ সালের ১৮অক্টোবর কুলপি ব্লকের বিডিও’র কাছে আবেদন জানালেও কোন সুরাহা হয়নি। পুনরায় বার্ধক্য ভাতা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি জেলা শাসককে।  



 

Comments :0

Login to leave a comment