প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়ালস। তাঁরা লখনউ সুপার জায়ান্টকে হারিয়েছে। এদিকে, পাঞ্জাব কিংসের কাছে লড়েও হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে মুখোমুখি রাজস্থান বনাম দিল্লি। সঞ্জু স্যামসনের দলের লক্ষ্য ঘরের মাঠে জয়ের ধারা বজায় রাখা। তেমনই দিল্লি মাঠে নামবে প্রথম জয়ের খোঁজে।
প্রথম ম্যাচে জিতে রাজস্থান লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই ম্যাচে জিতলেও তাঁদের পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান বদলাবে না। কারণ আগের ম্যাচে চেন্নাই বড় ব্যবধানে জিতে রান রেট ভালো করে নিয়েছে। রাজস্থান জিতলেও সিএসকে-কে ছুঁতে পারবে না। যতই সমসংখ্যক ম্যাচে সম পয়েন্ট হোক না কেন! এটা ঠিক রাজস্থান জিততে পারলে এমএস ধোনির দলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে রাজস্থানের দুই ওপেনার ভালো শুরু করেও রান পাননি জয়সওয়াল ও জস বাটলার। গত বছর এই দুই ওপেনারই রাজস্থানের হয়ে খুব ভালো ব্যাটিং করেছেন। তাদের ভালো শুরুর জন্যই মিডল অর্ডারের অনেকটা সুবিধা হয়েছে। যেহেতু তারা ভিত করে দিতেন। প্রথম ম্যাচে দলকে এই সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন দু’জনই। জয়সওয়াল ও বাটলার দু’জনই নিজেদের ভুল শুধরে রানে ফিরতে মরিয়া। তাঁরা রান পেলে সুবিধা হবে সঞ্জুদের। যদিও প্রথম ম্যাচে বাটলাররা রান না পেলেও সমস্যায় পড়েনি রাজস্থান। কারণ মিডল অর্ডারে নেমে বাটলারদের অভাব বুঝতে দেননি সঞ্জু। তিনি একাই ৫২ বলে ৮২ রান করেন। এবং দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন। সঞ্জুকে যোগ্য সঙ্গত করেন রিয়ান পরাগ ও ধ্রুব জুরেল। মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে ভালো ছন্দে ছিলেন রিয়ান। সেরকমই ব্যাটিং করেছেন আইপিএলের প্রথম ম্যাচে। ফিনিশার হিসাবে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হেটমায়ার।
তবে রাজস্থানের বোলিং লাইন আপ, দুরন্ত বোলিং করে লখনউকে আটকে দিয়েছে। জয়পুরের পিচ সাহায্য করেছিল রাজস্থানকে। ২ উইকেট পান বোল্ট। এবং চাহাল, অশ্বিন, সন্দীপ শর্মা ও বার্গার, প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। জয়পুরে এবার প্রথম রাতের ম্যাচ। উইকেটে বোলারদের জন্য কেমন সহায়তা থাকবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত রাজস্থানের কোচ সাঙ্গাকারা। যদিও তিনি বলেছেন ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আমার দলের ক্রিকেটাররা খেলতে নামবে। এই ম্যাচে রাজস্থান দলে এক দুটো পরিবর্তন হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। রাজস্থানের কোনও ক্রিকেটারের চোট আঘাতের খবর নেই। সবাই খেলার জন্য তৈরি।
অন্যদিকে, দিল্লি প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে স্কোর বোর্ডে পর্যাপ্ত রান করলেও বোলারদের ব্যর্থতার কারণে তাঁরা পাঞ্জাবকে হারাতে পারেনি। রাজস্থানকে হারিয়ে দু’পয়েন্ট পেতে হলে বোলারদের ছন্দে ফেরাটা জরুরি। চোট সারিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আনরিচ নর্কিয়া। তিনি ফিট থাকলে, তাঁকে খেলাতে খেলাতে পারে দিল্লি। নর্কিয়ার আগমনে দিল্লির বোলিং লাইন আপের শক্তি বাড়বে। আগের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন ঈশান্ত শর্মা। যা খবর তিনি সুস্থ আছেন। খেলতে পারবেন এই ম্যাচে। বাংলার পেসার মুকেশ কুমারও ফিট। তাঁকেও এই ম্যাচে খেলিয়ে দিতে পারে দিল্লি।
এদিনই দিল্লির মেন্টর সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, দলের হয়ে ওপেনিং করবেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। তার মতে দু’জনই খুব অভিজ্ঞ ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওপেন করে আসছেন। তারা ফর্মে থাকলে আমরাই উপকৃত হব। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করবেন রিকি ভুঁই।
দিল্লি : রাজস্থান (ম্যাচ শুরু সন্ধে সাড়ে সাতটা)
Comments :0