পুলিশের সামনে লুট হলো পৌর কর্মী সমবায়ের ভোট। কামারহাটির এই সমবায়ের ভোটে সদস্যদের বাধা দিল তৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনী। ছবি তুলতে থাকায় দুষ্কৃতী বাহিনী আক্রমণ করেছে সংবাদমাধ্যমকেও। সমবায়ের ভোটে বেপরোয়া লুটে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে কামারহাটিতে।
শনিবার ভোট ছিল কামারহাটি মিউনিসিপালিটি এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের। এই সমবায়ে সদস্য প্রায় সাড়ে চারশো। সকাল থেকেই শুরু হয় দখলদারি। রাজ্যের আর পাঁচটা জায়গার মতো কামারহাটিতেও তৃণমূলের গা জোয়ারি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে কামারহাটিতে।
কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মানস মুখার্জি ধিক্কার জানিয়েছেন ভোট লুটে। তিনি বলেছেন, ‘‘পৌর কর্মচারীদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রয়েছে সমবায়ের তহবিলে। এই তহবিল লুট করতে চাইছে তৃণমূল। তার জন্যই দখলদারি।’’ এদিন ভোট লুটের নানা অভিযোগ পাওয়ায় পুলিশকে জানান মুখার্জি। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি নিজেই যান। তাঁকে জোট করে আটকে রাখা হয়। বাধা দেওয়া হয় পুলিশের সামনেই।
মুখার্জি বলেন, ‘‘কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের নেতৃত্বেই বৈধ ভোটারদের আটকে দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। সারা রাজ্যে লুট চালাচ্ছে তৃণমূল। কামারহাটিও ব্যতিক্রম নয়।’’
সমবায়ে কোনও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে হয় না। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন সমবায়েই তৃণমূলের লুটের প্রতিবাদে প্রার্থী হতে দেখা যাচ্ছে সমবায়ের সদস্যদের। কামারহাটিতে প্রগতিশীল জোট ১২ আসনেই প্রার্থী দেয়। তপশিলি জাতি, আদিবাসী প্রার্থী এবং মহিলারা জোটের প্রার্থী হন।
সকালে দশটার সময় যখন ভোট শুরুর মুখেই প্রগতিশীল জোট প্রার্থীদেরকে মারধর করা হয়। সমবায়ের সদস্য ভোটাদাতাদের ভয় দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। জোট প্রার্থীদের আটকে রাখা হয়। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁদেরকে আক্রমণ করা হয়। ফোন ভেঙে ফেলা হয়, আটকে রাখা হয়।
মানস মুখার্জি এবং পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ঝন্টু মজুমদার চলে আসেন পৌরসভার গেটে। মানস মুখার্জিকে বাধা দেওয়া হয়। ঠেলাঠেলি করে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় পাশে ছিলেন ঝন্টু মজুমদার। পুলিশ থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরে উত্তেজনা বাড়ে। স্থানীয় বহু মানুষ প্রতিবাদ জানান।
Comments :0