রামশঙ্কর চক্রবর্তী
বিপন্ন অবস্থায় বন্যার্তরা বিক্ষোভে নামছেন বাধ্য হয়ে। তাঁদেরই ওপর লাঠি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকি গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।
সোমবার এই পাঁশকুড়ায় জাতীয় সড়ক এনএইচ ১৬ লাগোয়া পশ্চিম নেকড়া এলাকায় এমনই ভূমিকা পুলিশের।
এদিন বিক্ষোভের সময় পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে তিনজনকে। তার মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) সদস্য আতিকুর রহমান।
ক্ষীরাই নদীর বাঁধে স্লুইস গেট দিয়ে জল বের করার দাবিতে পশ্চিম নেকড়া বাইপাসে বানভাসিরা বিক্ষোভে নামেন। পাঁশকুড়ায় জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় জলযন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি। সোমবারও বহু এলাকায় কোমর সমান জল।
এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্লুইস গেটটি খোলা থাকলে জল অন্তত খানিকটা নামত। আবার ঘোষপাড়া এলাকার একাংশের আশঙ্কা স্লুইস গেট খুললে জলের তোড়ে সেখানে জল বাড়তে পারে।
স্থানীয়দের ক্ষোভের প্রধান কারণ প্রশাসনের ভূমিকা। কথা বলে জল কমানোর উপায় খুঁজতে প্রশাসনের কোনও ভূমিকাই চোখে পড়ছে না। তার ফলে বাড়তে থাকে ক্ষোভ।
স্থানীয় সব অংশেরই বক্তব্য, নিকাশি নালার জায়গা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে তৃণমূলের মদতে। ফলে জল বেরনোর রাস্তা কমে গিয়েছে। বৃষ্টি না হলেও দিনের পর দিন জলমগ্ন থাকছে প্লাবিত এলাকা। জল নামছে না।
বন্যায় বিপন্নরা বাধ্য হয়ে অবরোধে নামলে লাঠি চালায় পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেপরোয়া লাঠি চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে তিনজনকে।
Comments :0