দেবস্থানে ভাগাভাগির রাস্তাতেই রয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি। ধর্মপালন করেন এমন অংশের সায় না থাকলেও শুনতে নারাজ বিজেপি-আরএসএস।
হিন্দুত্ববাদীদের হুমকি উপেক্ষা করে বৃন্দাবনের বিখ্যাত বাঁকে বিহারী মন্দির মুসলিম হস্তশিল্পীদের তৈরি বিগ্রহের পোশাক নিয়েছেন। সমন্বয়ের দীর্ঘ পরম্পরা ধরে রেখে নিয়েছেন তাঁদের তৈরি বিগ্রহের মুকুটও।
তবে রবিবারই উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেত্রী আশা নৌটিয়ালের মন্তব্য নিয়ে শঙ্কা ছড়িয়েছে। নৌটিয়াল বলেছেন, কেদারনাথ মন্দির চত্বরে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কেদারনাথের এই বিধায়কের দাবি, অ-হিন্দুরা আমিষ খেয়ে পবিত্রতা নষ্ট করছে। বিষয়টি নিয়ে নাকি কথা হয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে।
কর্নাটকে বিভাজন তীব্র করতে এই রাস্তাতেই হেঁটেছিল বিজেপি’র সঙ্গী বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। রাজ্যের শেষ নির্বাচনে যদিও হেরেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। এর মধ্যেই রবিবার একটি পডকাস্টে মোদী দাবি করেছেন তিনি নাকি সমন্বয়ের পক্ষে!
ধর্মস্থানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বহু মানুষের জীবিকা। হিন্দুদের বহু ধর্মস্থানে, পরম্পরা মেনেই বহু কাজে জড়িয়ে থাকেন অ-হিন্দুরাও।
দোলের আগে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দির কর্তৃপক্ষকে দাবিপত্র ধরিয়েছিল শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংঘর্ষ ন্যাস নামে একটি সংগঠন। তার সভাপতি দীনেশ শর্মা দাবিপত্রে লিখেছিলেন, ‘‘যারা আমাদের ধর্ম মানে না তাদের কোনও কিছুই দেবতার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।’’
ঠিক তার উলটো বলেছেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জ্ঞানেন্দ্র কিশোর গোস্বামী। তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে জানান যে মন্দির কর্তৃপক্ষ এমন দাবি মানতে নারাজ।
গোস্বামী বলেন, ‘‘হস্তশিল্পীকে তাঁর শিল্প দিয়ে বিচার করতে হয়। ধর্ম দিয়ে নয়। তাঁরা ভগবানকে যা দেন শুদ্ধচিত্তেই অর্পণ করেন। আমরা কেন তা অস্বীকার করব!’’
ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি আর ধর্মপালন যে এক নয়, ফের বুঝিয়েছে বৃন্দাবন।
Vrindavan Temple
সমন্বয়েই বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দির, কেদারনাথে ভাগাভাগিতে ব্যস্ত বিজেপি

×
Comments :0