MD SALIM

এককাট্টা হলে সম্ভব দিদি-মোদীকে হারানো: সেলিম

রাজ্য জেলা

MD SALIM গঙ্গারামপুরে সিপিআই(এম)’র কর্মীসভার প্রস্তুতি শনিবার।

মানুষকে যারা ভাগ করছে তারা দুর্নীতিতেই সাহায্য করছে। কর্ণাটকেও দুর্নীতি আড়াল করতে ভাগাভাগির চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। সারা দেশে সরকার বিরোধী অসন্তোষ রয়েছে, এ রাজ্যেও রয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী সব শক্তি এককাট্টা হচ্ছে। 

শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিস্থিতির এই ব্যাখ্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির প্রশ্নে রাজ্যের দিদি আর দিল্লির মোদীর মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। তৃণমূল বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে ভাগাভাগি রুখে এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। কেবল কংগ্রেস নয়, অন্য শক্তিগুলিও শামিল হচ্ছে। 

শনিবারই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের ফল গণনা হয়। সরকারে আসীন বিজেপি’কে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, কর্ণাটকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি নিয়ে কথা বললেন না। জয় বজরঙবলী বলে ভোট দিতে বললেন, ধর্মকে বর্ম করে দুর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা করলেন। কর্ণাটকের মানুষকে সেলাম, এই রাজনীতিতে গা ভাসিয়ে দেননি। 

রাজ্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির সরকার আরএসএস’র পরিকল্পনা কার্যকর করছে। মানুষ এককাট্টা হচ্ছেন। মানুষ এককাট্টা হলে রাজ্যে দিদি এবং কেন্দ্রে মোদী- দুই সরকারকেই বদলে দেওয়া সম্ভব। রাজ্যে বিজেপি’র ভূমিকা তুলে ধরে তাঁর মন্তব্য, মানুষকে ভাগ কে আসলে দুর্নীতিকেই সাহায্য করা হচ্ছে। 

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে সেলিম বলেছেন, যাঁরা চাকরি পেলেন এবং যাঁরা পেলেন না, দুই অংশেরই জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। দুই অংশই সঙ্কটে। দেখা যাচ্ছে, সরকার যোগ্যদের পাশে না দাড়িয়ে টাকার লেনদেন করেছে এমন অংশের পাশে থাকছে। ৩৬ হাজারের সকলেই টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এমন নাও হতে পারে। কিন্তু কে করেছে আর কে করেনি, বাছবিচার করার এই ব্যবস্থাই তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। 

সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন তিনি। সেলিম বলেন, মেধাতালিকায় না থেকেও যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাননি। আমরা বামপন্থীরা বলেছি। চাকরিপ্রার্থীরা ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু তখন সংবাদমাধ্যম বলেনি দুর্নীতি হয়েছে। এখন তদন্তে সব বেরিয়ে আসার পর বলা হচ্ছে।  

Comments :0

Login to leave a comment