Purbasthali

জেতাবো সিপিআই(এম) প্রার্থীদের বলছেন পূর্বস্থলী দুই ব্লকের মানুষ

জেলা

Purbasthali


এই রাজ্যের এমন একটি পঞ্চায়েত যেখানে বিজেপি ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। শেষে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। গ্রামের মানুষের দাবি, ‘‘ দীর্ঘ ৩০ বছর এই পঞ্চায়েত এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাট থেকে বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে। শেষ দিকে ১০০ দিনের কাজ, সরকারি আবাসন সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা লুটপাট হয়েছে। ফলে এই পঞ্চায়েতে সরকারি টাকা সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসেনি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বৈভব বেড়েছে, তাদের সম্পত্তি বেড়েছে’’।


এই পিছিয়ে পড়া গ্রাম পঞ্চায়েতটি হল পূর্বস্থলী দুই ব্লকের অন্তর্গত কালেখাঁতলে ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এলাকার ১৯৯ নম্বর চাপাতলা ও ১৫১ নম্বর বিশ্বরম্ভা বুথে বাড়ি বাড়ি নির্বাচনী প্রচার চালায় সিপিআই(এম) প্রার্থীরা। যে বাড়িতেই গেছে সেই বাড়ি থেকেই অভিযোগ করা হয়েছে সরকারি সুবিধা তাদের জোটেনি। এক চিলতে বাড়িতে কোনরকম মাথা গুঁজে থাকতে হলেও সরকারি আবাসন প্রকল্পের ঘর তারা পায়নি। কিন্তু যারা ধনী, তারা এই সুবিধা পেয়েছে। লাভ না থাকায় কৃষকরা কৃষিতে উৎসাহ হারিয়েছে। ফলে ক্ষেতমজুরদের মাঠ-ঘাটের কাজ কমেছে। প্রায় ১৯ মাস ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ। বকেয়া মজুরি মিলছে না। আর এর জন্য দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার।

 রাজ্য সরকারের আমলে ১০০ দিনের কাজের রাশি রাশি টাকা চুরি হয়েছে। সেই টাকা চুরি করেনি কোন গরিব মানুষ। তবুও চুরি না করে সাধারণ মানুষকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। কারণ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চোরদের শাস্তি না দিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই এটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাই এবার সিপিআই(এম) প্রার্থীদেরই জেতানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন। বাম প্রার্থীদের আদর আপ্যায়ন করে সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে তারা বামফ্রন্টকেই জেতাবেন। এদিনের প্রচারে অংশগ্রহণ করেন দুই বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী সন্ধ্যা দাস ও অবনী রায় এবং পূর্বস্থলী ২নং পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ নম্বর আসনের প্রার্থী সুমন্ত মন্ডারী।

Comments :0

Login to leave a comment