CPIM CAMPAIGN

মানিকচকে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের প্রচারে ব্যপক সারা

জেলা পঞ্চায়েত ২০২৩

CPIM CAMPAIGN


পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৫ দিন। বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে যাবে প্রচার। রবিবার মানিকচকে বামফ্রন্টের প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। যেখানেই প্রার্থীরা যাচ্ছেন সেখানেই মানুষ শোনাচ্ছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। বিজেপি’র বিভাজনের কথা প্রার্থীদের সামনে তুলে ধরছেন মানুষ। এছাড়াও মানিকচক ব্লকের  মূল সমস্যা গঙ্গা ও ফুলহর নদীর ভাঙ্গনে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কথাও গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শোনা গেল। প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিকদের সমস্যা কথা। বিড়ি শ্রমিকদের একটা বড় অংশই মহিলা, তাদের সমস্যাগুলি প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে।
মানিকচক ব্লকের সবচেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন। গঙ্গা, ফুলহর ও কালিন্দ্রী নদীর ভাঙ্গনে ক্ষত বিক্ষত ব্লক, বিশেষতঃ ভুতনি ও গদাই চর এবং গোপালপুর অঞ্চল। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে এই ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ফলে সমস্যা বাড়ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে।


মানিকচক ব্লকের অন্যতম সমস্যা পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা। জেলা ও রাজ্যে কাজ না পেয়ে অধিকাংশ যুবক কাজের খোঁজে পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া, বকেয়া মজুরি না পাওয়ার কারণে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে মানিকচক সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কর্মহীন যুব সমাজ। মাঝেমধ্যেই এই পরিয়ায়ী শ্রমীকদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে বিভিন্ন দুর্ঘটনায়। যা পরিবারের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কোভিডের পরিস্থিতিতে কর্মস্থলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘরে ফিরতে গিয়ে চরম সঙ্কটে পড়তে হয়েছে। প্রাণও হারিয়েছেন ২২জন পরিযায়ী শ্রমিক। বার বার দাবি করায় সত্বেও রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার তাদের কোন রকম সহযোগিতার হাত বাড়ায় নি। 


মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদহ জেলার মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস বিড়ি বাঁধার কাজ। প্রচারেও উঠে তাদের জীবন যন্ত্রনার কথা। অভিযোগ মহিলারা বেশী সংখ্যায় কাজ করে। তবে এক্ষেত্রেও নায্য মজুরি তাঁরা তো পানই না, অন্যভাবেও মজুরি বাবদ দেয় অর্থ থেকে টাকা কেটে নেয়। বিড়ি মালিকদের একটা বড় অংশ রাজ্যের শাসক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তাই ন্যুনতম মজুরি ওরা পায় না। বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি করলেও বিড়ি মজুরি হাজারে ১৫ বা ২০ টাকা বাড়ালেও তা ন্যুনতম মজুরির থেকে অনেক কম। এই বিষয়টিও প্রচারে সামনে আসছে। গোটা মানিকচক জুড়েই বামফ্রন্ট প্রার্থীরা এই সব সব বিষয় নিয়ে বুথে বুথে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন।

Comments :0

Login to leave a comment