এবার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েলের নাম সেই সঞ্জয়ের মুখে। আর জি কর হাসপাতালে খুন-ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রিজন ভ্যান থেকে বলেছে, বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। কলকাতা পুলিশের এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডিসি ডিডি’র বিরুদ্ধেও চিৎকার করতে শোনা গিয়েছে।
চার্জ গঠন হয়েছিল ৪ নভেম্বর। সোমবার, ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু হলো আর জি কর কাণ্ডের বিচারপর্ব। সাক্ষ্য দিয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসক-ছাত্রীর বাবা। এদিনই আদালত নিয়েছে পানিহাটির তৃণমূল নেতা সঞ্জীব মুখার্জির সাক্ষ্যও।
এই সঞ্জীব মুখার্জিকেই দেখা গিয়েছিল ৯ আগস্ট শ্মশানে দেহ দাহ করার জন্য অত্যন্ত তৎপর থাকতে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের দূরে সরিয়ে রেখে দাহ পর্ব তাড়াহুড়ো করে সমাধা করেছে পুলিশ এবং প্রশাসন।
৪ নভেম্বর চার্জ গঠনের দিনও সঞ্জয়কে চিৎকার করে ‘ফাঁসানোর’ অভিযোগ জানাতে শোনা গিয়েছিল। সেদিন শোনা গিয়েছিল ‘সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে’ বলতে। শোনা গিয়েছিল ‘ডিপার্টমেন্ট ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেছে’, এমন অভিযোগও জানাতে।
সিবিআই’র চার্জশিটে মোট ১২৮ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে। আদালতে ৫১ জনকে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে।
আর জি কর হাসপাতালে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সরব চিকিৎসকরা, নাগরিকরা। ‘অভয়া মঞ্চের’ ডাকে শনিবারও ধর্মতলায় হয়েছে ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচি।
৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে পাওয়া গিয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। তারপর বারবার রাস্তায় নেমেছে জনতা। আর পুলিশ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতি-দুষ্কৃতী চক্রের মাথাদের আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে।
এক প্রশ্নে সঞ্জয়কে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা কেন সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছিল ওদের জিজ্ঞাসা করুন।’ শোনা যায় বলতে, ‘বড় বড় অফিসাররা সব কিছু জানে।’
RG KAR SANJOY ROY
‘বড় বড় অফিসাররা সব জানে’, ‘বিনীত গোয়েল ফাঁসিয়েছে’, চিৎকার সঞ্জয়ের
×
Comments :0