টাকা পয়সার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চরম অন্তঃদ্বন্দ্বের ফলে দলীয় নেতা কর্মীদের হাতে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল জয়পুরের উত্তরবাড় অঞ্চলের তৃণমূলের নেতা শেখ গোলাম কুদ্দুসকে। ঘটনার ১২বছর পর মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি অনিরুদ্ধ মাইতি এই ঘটনায় ৭জন ব্যক্তিকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ঘোষণা করে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করলেন। ঘটনায় ৬জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। সাজা প্রাপ্তরা সবাই স্থানীয় তৃণমূলের নেতা। এরা হল তৃণমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল, দলের নেতা সুকুর ভূঁইঞা, ইয়াসিন ভূঁইঞা, লাল মহম্মদ ভূঁইঞা, রাজন মন্ডল, নবীয়াল মন্ডল, হোসেন মন্ডল।
ঘটনা হল ইন্দিরা আবাসনের বাড়ির টাকা ভাগবাটোয়াড়া নিয়ে শেখ গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে এলাকার তৃণমূলের একাদিক নেতা, কর্মীর বচসা, বিবাদ লেগেই ছিল। শেখ গোলাম কুদ্দুসও দলের নেতা ছিলেন। ১ জানুয়ারি ২০১২সালে প্রকাশ্যে লাঠি পেটা করে পাথর দিয়ে ছিঁচে শেখ গোলাম কুদ্দুসকে খুন করা হয়। পরের দিন তাঁর বাড়ির লোকজন এফ আই আর দায়েব করেন। কেস নম্বর জয়পুর পি এস ২/২০১২। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। ১২বছর ধরে কেস চলে। এই মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন গুরুপদ ভট্টাচার্য্য।
Life Imprisonment
বাঁকুড়ায় পিটিয়ে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন তৃণমূলের ৭ জনের
×
Comments :0