ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের দালালি করা সংগঠনের হাতে আজ দেশ। তারা তো চাইবে বেনিয়াদের স্বার্থ রক্ষা করার দালালিতে ভারতের আপামর জনগনের কন্ঠরোধ করার লক্ষ্যে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের পদক্ষেপ নিতে। এর বিরুদ্ধে বামপন্থী সহ গণতান্ত্রিক মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপোষহীন লড়াই জরুরী। রবিবার মেদিনীপুর শহরে রবীন্দ্র মূর্তির সামনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
আগামী ১২-১৩ জানুয়ারি সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ২৫ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে খড়্গপুর শহরে অন্ধ্র হাইস্কুলে। এই উপলক্ষে খড়্গপুর সহ জেলার তিনটি মহকুমা কেন্দ্রে তিনটি বিষয়ের উপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এদিন মেদিনীপুরে আলোচ্য বিষয় ছিলো ‘ভারতের সংবিধান ও এই সময়’। মুখ্য আলোচক ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক বিজয় পাল। সভাপতিত্ব করেন গোপাল প্রামানিক। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সভায় বলেন, শোষণ বৈষম্যর ধারক-বাহকদের হাতে আজ দেশ ও দেশের সংবিধান আক্রান্ত। অধিকার হরণের লক্ষ্যে সংবিধানকে পরিবর্তন করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত নামিয়ে আনতেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ করার পদক্ষেপ। কিন্তু সংবিধানে প্রথমেই উল্লেখ আছে, আমরা ভারতবাসী, ভারতবাসীর সামাজিক অর্থনৈতিক সাম্যের অধিকার বিস্তার ও রক্ষাকবচের হাতিয়ার আমাদের এই সংবিধান। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে আমার দেশ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাজতান্ত্রিক পথে এগোনোর নিদান। একে রক্ষা করার লড়াই আজ জরুরী হয়ে পড়ছে।
এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূল একটি গুন্ডা বাহিনীর সমাহার। যারা ক্ষমতায় আসার পর গুন্ডাবাহিনী দ্বারা তোলাবাজিতে সমৃদ্ধ হয়েছে। এখন তৃণমূল দলের মধ্যে কোন খুনি হবে কারণ ওরা বুঝতে পারছে ওদের ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ হয়ে আসছে। ডাকাতরা যখন ডাকাতের সম্পত্তি নিয়ে ভাগাভাগি করে তখন নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে সেটাই হচ্ছে।
Comments :0