World

গাজায় ফের বিমান হামলায় নিহত ২৪

আন্তর্জাতিক

কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু হওয়ার পর শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৪ প্যালেস্তিনীয় নিহত। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মতে, আল-সুজাইয়া এলাকা এবং গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের নিকটবর্তী ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক এলাকাগুলোতেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে, বিমান হামলায় মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে নয়জন এবং নুসেইরাত শিবিরে ১১ জন নিহত হয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শেখ রাদওয়ানে তিনজন এবং রাফার নিকটবর্তী খিরবেত আল-আদাস এলাকায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
ক্রমবর্ধমান হিংসার মধ্যে, গাজা-ভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫,৬৫৮ জন, আহত ১০৮,০০০ এরও বেশি। এসব হামলায় সর্বশেষ ওমর আল-দিরাউয়িসহ ২০২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার দোহায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পথ সুগম করা এবং বাস্তুচ্যুত প্যালেস্তিনীয়দের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।
হামাস আলোচনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, ‘‘আন্দোলনটি তার গুরুত্ব পুনরায় নিশ্চিত করেছে এবং এমন একটি চুক্তির দিকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যা আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্য পূরণ করবে।’’
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন যে মোসাদ, শিন বেট এবং আইডিএফ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল কাতার সফর করেছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে হামাস গাজায় আটক পনবন্দীদের সনাক্ত করতে এবং মুক্তির তালিকা সংকলনের জন্য এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যদিও ইজরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার তারা হামাসের ৪০টি টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। গাজার হাসপাতালগুলো ক্রমবর্ধমান সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে, আল-আওদা হাসপাতালের মতো পরিকাঠামোগুলো ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার আল্টিমেটাম পাচ্ছে। ক্রমাগত গোলাবর্ষণের মধ্যে মেডিকেল টিম তীব্র পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, মৃতদেহ উদ্ধার করছে এবং আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে।
দোহায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা আশার আলো দেখালেও বাস্তবের পরিস্থিতি এখনও ভয়বহ। মানবিক সংকট গভীর হচ্ছে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিংসা বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান অব্যাহত রেখেছে।

Comments :0

Login to leave a comment