সারে ভরতুকি আরও কমেছে ২৪ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। খাদ্যে ভরতুকি কমেছে ৭ হাজার ৮২ টাকা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামোন্নয়নে ব্যয় বরাদ্দ মোট জাতীয় উৎপাদনের নিরিখে স্থবির। একশো দিনের কাজ বা এমজি এনআরইজিএ প্রকল্পে ফের অবহেলা।
কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে এভাবেই তথ্য পেশ করেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। বলেছে, জনতার প্রতিদিনের সঙ্কটে মোকাবিলায় ব্যর্থ বাজেট। এই বাজেটকে ‘সঙ্কোচনশীল এবং পিছিয়ে থাকা মানসিকতার’ আখ্যা দিয়েছে পলিট ব্যুরো।
মঙ্গলবার পলিট ব্যুরো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সব মিলিয়ে দেখলে এই বাজেট আসলে ধনীদের আরও ধনী এবং গরিবকে আরও গরিব করার লক্ষ্যে তৈরি। দেশের বিপুল বিত্তবানদের ওপর সম্পদ কর বা উত্তরাধিকার কর বসাতে অস্বীকার করা হয়েছে বাজেটে। আবার পরোক্ষ করের বোঝা না কমিয়ে জনতাকে স্বস্তি দেওয়ার দাবিকেও অস্বীকার করা হয়েছে।’’
রাজ্যগুলির বরাদ্দ যে বাড়ছে না সে কথাও মনে করিয়েছে পলিট ব্যুরো। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাজনৈতিক চাপের কারণে অন্ধ্র প্রদেশ এবং বিহারের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ বিহারের জনতা দল (ইউ) এবং অন্ধ্রের তেলেগু দেশমের সমর্থনে টিকে রয়েছে কেন্দ্রের সরকার। এই দুই রাজ্য ছাড়া বাকি রাজ্যগুলিকে কঠিন অবস্থায় ফেলা হয়েছে। অর্থ কমিশনের অনুদান ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা ছিল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কমিয়ে করা হলো ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। এবার, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অনুদান আরও কমিয়ে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকায় নামানো হয়েছে।’’
কর্মসংস্থান বাড়ানোর নামে বাজেটের নানা ঘোষণাকে চমক আক্যা দিয়েছে পলিট ব্যুরো। বিবৃতিতে ব্যাখ্যা, ‘‘কর্মসংস্থান সংযুক্ত সহায়তা প্রকল্পে নতুন কর্মীর জন্য এক মাসের বেতন দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। ১ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় এমন কর্মীকে বছরে তিন কিস্তিতে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আর নিয়োগকারীকে ২৪ মাসে মোট ৭২ হাজার টাকার সুবিধা দেওয়া হবে। কর্পোরেটকে ভরতুকি দেওয়ার নতুন কায়দা। এমন চমকে কর্মসংস্থান হয় না। কর্পোরেটের মুনাফা বিপুল বাড়লেও যন্ত্রপাতি এবং উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়েনি। কারণ অর্থনীতিতে চাহিদা কম, ক্রয়ক্ষমতা কম।’’
এদিনই কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
BUDGET POLIT BUREAU
ধনীদের আরও ধনী, গরিবকে আরও গরিব করার বাজেট: পলিট ব্যুরো
×
Comments :0