Body Trafficking Case

বর্ধমান মেডিক্যালে লাশ পাচারেও জড়ালো তৃণমূল

রাজ্য

এবার মৃতদেহ চুরিতেও তৃণমূল কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে গেল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগ থেকে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ৮দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়। কিন্তু ধৃতেরা পুলিশের কাছে এই লাশ পাচারে জড়িত তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালীর নাম বলেছে বলে জানা গিয়েছে। 
গত ৮ নভেম্বর লাশ পাচার ধরা পড়ে। তদন্তেও নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের।
কয়লা, বালি, গোরু, চাল, আটা, চাকরি চুরির নানা ঘটনা জনজীবনে সামনে চলে এসেছে। আদালতেও তা নিয়ে বেআব্রু হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মৃতদেহ পাচারেও জড়ালো দলের নেতাদের নাম। তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ধৃতদের জামিন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, মুখ্যত বেসরকারি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে লাশ বিক্রি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শাসকদলের প্রভাবশালীদের নাম ধৃতেরা জানানোয় পুলিশ তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে! পুলিশের কাছে সূত্র মারফত বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যাতে ধৃতদের নিয়ে তদন্তের গভীরে যাওয়া না হয়। অভিযোগ, জামিন অযোগ্য একাধিক ধারা থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা জামিন পেয়েছে সেই চাপের কারণেই। যায়। 
হাতেনাতে লাশ পাচারের প্রমাণ সত্ত্বেও জামিন মেলায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য দপ্তরের একাধিক কর্মীও। শাসকদল ও পুলিশের বোঝাপড়াতেই এই তদন্ত ধামাচাপা পড়েছে, এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয় মানুষ। 
প্রশ্ন উঠেছে, ধৃতেরা পুলিশের কাছে যে প্রভাবশালীদের নাম বলেছে তাদের পুলিশ কেন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি? হাসপাতালের একাধিক রক্ষী অভিযোগ করেছেন যে মরদেহ বহনকারী গাড়িগুলি এমন ভাবে তৈরি যে উপরে একটি মরদেহ শোয়ানো থাকলেও নিচের গোপন চেম্বারে আরও দুটি মরদেহ লুকিয়ে পাচার করা হতো। প্রতিটি দেহ পাচার করে ৩ লক্ষ টাকা করে মিলেছে বলে অভিযোগ। যার ক্রেতা বেসরকারি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ। এমনকি রাজ্যের বাইরেও কঙ্কাল এবং দেহাংশ পাচার হতো চড়া দামে। 
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে লাশ পাচারে ধৃতদের মধ্যে তিনজন স্বাস্থ্য কর্মী। ধৃতদের নাম গৌতম ডোম, নন্দলাল ডোম, অবিনাশ মল্লিক, সুমন মিত্র ও শম্ভু মিত্র। দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া থানার শুশ্রূতনগরে অবিনাশের বাড়ি। বর্ধমান শহরের ষাঁড়খানাগলিতে গৌতমের বাড়ি। শহরেরই সাধনপুরে নন্দলালের বাড়ি। শহরের বাবুরবাগে সুমন ও শম্ভুর বাড়ি। এদের মধ্যে গৌতম, নন্দলাল ও অবিনাশ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্মী। সুমন স্বর্গরথের চালক। শম্ভু সেটির হেল্পার। ঘটনায় হুগলির আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের এক কর্মীর নামও জড়িয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment