দেবাশিস আচার্য, কৃষ্ণনগর
‘চাঁদ গাজির কবরে চৈতন্যের গান
বিভেদের রাজনীতি হবে খানখান'’
কৃষ্ণনগরের সদর মোড়ে স্লোগান তুলছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। মঞ্চে পুতুল নাচের শিল্পীদের তৈরি লালন ফকির, চাঁদ গাজি, চৈতন্যদেব।
যুবনেতারা বলছেন, এই নদীয়ায় নবদ্বীপে চাঁদ গাজির সমাধিতে চৈতন্যের গান হয় আজও। চৈতন্য যখন ব্রাহ্মণ সমাজপতিদের হাতে আক্রান্ত, রক্ষা করেছিলেন চাঁদ গাজি। গড়ে উঠেছিল মৈত্রী, জাত ধর্ম সম্প্রদায়ের বেড়া ভেঙে।
পুতুলনাচের শিল্পীরা বগুলা হাঁসখালির। সুশান্ত বিশ্বাস, স্বপন মণ্ডলরা শিল্পী। তাঁরাও হাঁটছেন ইনসাফ যাত্রায়। রাজ্য সরকার পরিবর্তনের পর আর দেয় না সহায়তা।
সকালে নবদ্বীপে হয়েছে নৌকায় প্রচার। সাড়া মিলেছে জনতার। বেলা একটায় সদর মোড় যাত্রীদের অপেক্ষায়। বেলা দুটোর পরে এসেছেন যুব নেতানেত্রীরা। বলেছেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এ রহিম। ততক্ষণে জনসমাবেশের চেহারা এই মোড়ে।
রহিম অভিনন্দিত করেছেন যাত্রীদের। বলেছেন, "বিশ্বায়নের সময়ে ফর দি কর্পোরেট, বাই দি কর্পোরেট, অফ দি কর্পোরেট। বেকারি স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ। তাঁদের লড়াই করছে ডিওয়াইএফআই। মুনাফার রাজনীতি ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে মানুষকে ভাগ করছে। লড়াই একজোটে দেশ বাঁচানোর। ইনসাফ যাত্রা তার জন্য। "
হাঁটছেন বাচিক শিল্পী মধুমিতা গাঙ্গুলি, লোকশিল্পী সাধন পাত্র। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী লোকশিল্পী সংঘের শিল্পীরা। রয়েছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কর্মীরা।
কেরালায় কাজে যান সিরাজ শেখ। পলাশিযথেকে এসে হাঁটছেন যাত্রায়। পলাশী সুগার মিল বন্ধ। তরুণ শ্রমিক হানিফ আলির নেতৃত্বে এসেছেন বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা।
কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের স্মৃতি জড়িয়ে, স্মৃতিতে বাঘাযতীন। খাদ্য আন্দোলনের শহীদ আনন্দ হাইত এ শহরের। শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে তাঁদের।
সদ্য বিবাহিত শুভঙ্কর অধিকারী এবং মল্লিকা দেবনাথ চলে এসেছেন মিছিলে। প্রতিবন্ধী সম্মিলনী সংবর্ধিত করেছে যাত্রীদের। হাঁটছেন প্রাক্তন যুবনেতা বাদল দত্ত, অলকেশ দাস, সুমিত দে, সুমিত বিশ্বাস, পলাশ দাস। হেঁটেছেন জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট টোটোচালক রচনা সরকার।
সাধন পাত্র গেয়েছেন, 'চাকরি চাইলে কামড়ে দেবে পুলিশ/ ডিএ চাইলে খেতে হবে ঘুষি'।
আর ইনসাফ যাত্রা বলেছে, লুটেরা দুই শক্তি। পরাজিত করতে। সফল করতে হবে ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশকে।
Comments :0