ইজরায়েলী সেনার হামলায় সম্পূর্ণ ভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গাজার নাসের হাসপাতাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র প্রধান জানিয়েছেন, গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতালে যখন ইজরায়েলী সেনা হামলা চালায়, তখন সেখানে ২০০’র বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁরা বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছেন তা জানা যাচ্ছে না।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ১ মাস ধরে নাসের হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ছোঁড়া হয়েছে কামানের গোলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র। এবার সেখানে সেনা পাঠিয়ে অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েল।
গাজা’র স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় ইজরায়েলের হামলায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৭জন প্যালেস্তিনীয়। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলী হামলায় এখনও অবধি ২৮,৯৮৫জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছুঁই ছুঁই।
ইজরায়েল প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ থামানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে কাতার, মিশরের মত দেশগুলি। কিন্তু কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি জানিয়েছেন, সংঘর্ষবিরতির পথ খুবই কঠিন।
আল-থানি শনিবার জানিয়েছেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে রফাসূত্র বেরোনোর পথ হঠাৎ করেই জটিল হয়ে পড়েছে।’’
অপরদিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছে আলজেরিয়া। চীন, রাশিয়ার মত যুদ্ধবিরতির পক্ষে থাকলেও আমেরিকা জানিয়েছে তাঁরা সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাশ হতে দেবেন না।
রফাসূত্রের গতিপথ জটিল হয়ে আসার জন্য হামাস এবং ইজরায়েল একে অপরকে দায়ী করেছে। হামাসের বক্তব্য, ইজরায়েলের অনমনীয় মনোভাবের জন্যই যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দীদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। অপরদিকে ইজরায়েলের চরম দক্ষিণপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘হামাস মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। ওরা অবাস্তব দাবি জানাচ্ছে। আমরা সেই দাবি কখনোই মেনে নেব না।’’
Comments :0