MEDICAL SCAM

রেশনের থেকেও বড় দুর্নীতি স্বাস্থ্য দপ্তরে, অভিযোগ চিকিৎসক মানস গুমটার

রাজ্য কলকাতা

west bengal health scam bengali news

নিয়োগ, রেশন কিংবা পৌরসভা দুর্নীতির থেকেও আকারে বড় স্বাস্থ্য দুর্নীতি। স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির দ্বৈরথ গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই প্রেক্ষাপটে এমনই মন্তব্য করলেন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ্ সার্ভিস ডক্টর্স’র সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা। 

গুমটা বলেছেন, ‘‘এটা নজিবিহীন ঘটনা। বিচারব্যবস্থাকে এমন ভাবে প্রভাবিত করার ঘটনা এর আগে ভারতে ঘটেছে বলে আমাদের মনে পড়ছেনা। এটা দেশ এবং রাজ্যের পক্ষে ভয়ঙ্কর সঙ্কেত। স্বাস্থ্যদপ্তরের দুর্নীতির একটা অংশ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা বলছি, তার বাইরেও ভয়াবহ মাত্রায় দুর্নীতি রয়েছে। নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রদোন্নতি কিংবা চিকিৎসকদের বদলি- সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সমস্ত ধাপে দুর্নীতি হয়েছে।’’

গুমটার কথায়, ‘‘শাসকদলের লোকেরাও ব্যক্তিগত স্তরে স্বীকার করছেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত ধাপে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি চলছে। ফলে তারই একটা অংশে যদি সিবিআই তদন্ত করা নিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বড় অংশের জন্য সুখকর নয়।’’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘নিয়োগ, পৌরসভা কিংবা রেশন দুর্নীতির থেকেও স্বাস্থ্য দুর্নীতির আর্থিক পরিমাণ অনেক বেশি। সমস্ত দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে আমাদের দপ্তরের দুর্নীতি। সেখানে দাঁড়িয়ে দুর্নীতির তদন্তকে ধাপাচাপা দেওয়া এবং তদন্ত বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে। এই ক্ষেত্রে আমরা বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা দাবি জানাচ্ছি, স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত বেনিয়মের তদন্ত হোক।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দুর্নীতির প্রসঙ্গে এখনও যেটুকু সামনে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। বাকি দুর্নীতিগুলি এর কাছে চুনোপুঁটি। আমাদের কাছে যেটুকু তথ্য এসেছে, তার নিরিখে বলতে পারি বদলি, প্রমোশন, ওষুধ সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী কেনার বিষয়ে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে। কোভিডের সময়ে সরকারি অর্থের কার্যত তছরূপ হয়েছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। দুর্নীতির গ্রাফে স্বাস্থ্য দুর্নীতি হল বড় মাছ।’’ 

মানস গুমটা বলেছেন, ‘‘একইসঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টাকেও আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য বিভাগের উপর থেকে প্রতিনিয়ত মানুষের আস্থা কমছে। ন্যূনতম যেটুকু এখনও অবশিষ্ট রয়েছে, তাকে রক্ষা করতে গেলে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।’’

 

Comments :0

Login to leave a comment