রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে এদিন রাজ্য মেনে নিয়েছেন ছাত্র সংসদ তুলে দিয়ে কাউন্সিল তৈরির করার যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বেআইনি। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষনে উঠে এসেছে যে, বিগত এক দশক ধরে আটকে রাজ্যের ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বেশিরভাগ ক্যাম্পাসে ইলেকশন কমিটি নেই। অথচ নেওয়া হচ্ছে ইউনিয়ন ফি। অবৈধ ইউনিয়নের মাতব্বরিতে নষ্ট হচ্ছে নিরাপত্তা, পঠনপাঠনের পরিবেশ।
এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে বার বার দাবি তোলা হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। এই দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশ এবং তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে এসএফআই কর্মী সমর্থকদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলায় ছাত্রকে নিজের গাড়ির চাকায় পিষে দেন শিক্ষামন্ত্রী নিজে।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘আদালেতর রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এসএফআই প্রতি সময় দাবি করে আসছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। নির্বাচীত ছাত্র সংসদ একজন ছাত্রের অধিকার। তৃণমূল সরকার সেই অধিকার থেকে ছাত্রদের বঞ্চিত করছেন। ঘুঘুর বাসায় পরিনত হয়েছে ইউনিয়ন রুম গুলো। তোলাবাজের জায়গায় পরিনত হয়েছে ইউনিয়ন রুম গুলো।’’
Comments :0