বিধানসভার ভোট করতে হবে এবার। তার আগে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ঠুঁটো করে দিলো কেন্দ্র।
কেন্দ্রের কথায় কাজ করতে বাধ্য থাকবে জম্মু কাশ্মীর সরকার। তার জন্য বদলানো হলো পুনর্গঠন আইনের বিধি। ক্ষমতা আরো বাড়ল কেন্দ্রের পাঠানো উপরাজ্যপালের।
জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন পাস হয় ২০১৯ সালে। পূর্ণ রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। তার আগে থেকে নেই বিধানসভা। সুপ্রিম কোর্ট এই আইনকে স্বীকৃতি দিলেও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। তার আগে নতুন সরকারের অধিকারকে কেড়ে নিলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংশোধনী।
আইনের বিধিতে সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, রাজ্যে এডভোকেট জেনারেল এবং আইন আধিকারিকদের নাম মুখ্য সচিবকে পেশ করতে হবে উপরাজ্যপালের কাছে। তাঁর অনুমোদন নিতে হবে। পুলিশ, আইএএস আধিকারিকদের বদলি, দুর্নীতি রোধ ব্যুরো সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিলেই হবে না। উপরাজ্যপালের অনুমোদন লাগবেই।
১২ জুলাই থেকে সব সিদ্ধান্তে বিধির সংশোধন কার্যকর থাকবে।
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারের ক্ষমতা অন্তত এর থেকে বেশি থাকবে আশা ছিল!
আইন সংশোধন করতে সংসদের অনুমোদন লাগে। কিন্তু আইনের বিধি সরকার নিজে বদলাতে পারে। তাই বিধি বদল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।
Comments :0