Insaf rally

ভালোবাসা এবং লড়াইকে সঙ্গী করেই ইনসাফ যাত্রার সঙ্গে গাড়ি ছোটালেন জিয়াউর

রাজ্য

শুভঙ্কর দাস 

 

সদ্য শেষ হয়েছে ইনসাফ যাত্রা। এরপর আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ। ডিওয়াইএফআই-এর ডাকে টানা ৫০ দিনের এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেইরকমই একজন জিয়াউর রহমান, পেশায় গাড়িচালক। 

এই গোটা ইনসাফ যাত্রায় যে দুটি ট্রাভেলার গাড়ি ছিল, তার মধ্যে একটি তাঁরই। জিয়াউর রহমান বহরমপুরের বাসিন্দা। ইনসাফ যাত্রার শুরুর দিন থেকে রয়েছেন। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন যুবদের এই পদযাত্রায়। 

রাজ্যের একের পর এক গ্রাম এবং শহর পেরিয়ে, গত ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় এসে পৌঁছয় ক্লান্তিহীন এই মিছিল। তারপর যাদবপুর ৮বি মোড়ে সংগঠিত হয় ইনসাফ যাত্রার সমাপ্তি সমাবেশ। মানুষের অধিকারের দাবি, চাকরির দাবি এবং ন্যায্য পাওনার দাবিতে যুবদের ডাকে রাজ্য জুড়ে চলা ইনসাফ যাত্রায় শামিল হন বিভিন্ন অংশের মানুষ। 

জিয়াউর রহমান বলেন, “আমি বাধ্য হয়ে এই রাজ্য ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কাজ নিয়েছিলাম। কারণ, এই রাজ্যের অবস্থা ভীষণ খারাপ। পরে পরিবারের জন্য ফিরে আসি। এই গাড়ি চালিয়ে আমার রোজগার। কিন্তু আজকে আমাদের রাজ্যের যুব সমাজ বিপন্ন। চাকরি নেই, উল্টে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে। তাই এই ইনসাফ যাত্রায় আমি এসেছি।

সেই বহরমপুর থেকে গাড়ি চালিয়ে গোটা যাত্রায় জড়িয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ কথা চলছিল। তারই মাঝে বললেন, “অনেক বাধা আসে এইসব কাজে। ভালো কাজ করতে গেলে অনেক বিপদ আসবে, কিন্তু পিছিয়ে আসলে চলবে না।“ 

এই গোটা ইনসাফ যাত্রার মাঝে বহু মানুষ ভালোবাসার ডালি উজাড় করে দিয়েছেন। কেউ দিয়েছেন ফুল, আবার কেউ পড়িয়ে দিয়েছেন মালা। এইসব কিছুর মধ্যে ইনসাফ যাত্রার লড়াকু সৈনিক হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে থেকে গেলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে এই জিয়াউর রহমান একজন। টানা ইনসাফ যাত্রার সঙ্গে থেকেছেন। গোটা গাড়িকে সাজিয়ে তুলেছেন ইনসাফ যাত্রার স্লোগানে। কর্মীদের ব্যাগ এবং জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি ছুটিয়েছেন গ্রাম থেকে শহর। 

Comments :0

Login to leave a comment