MID DAY MEAL

মিড-ডে-মিল: বেতন নেই, খাবারে ১০ টাকাও বরাদ্দ নেই, চাঁচলে সভা কর্মীদের

জেলা

রবিবার চাঁচলেও সিআইটিইউ-র নেতৃত্বে মিড-ডে মিল কর্মীদের সভা। ছবি: উৎপল মজুমদার

মিড-ডে মিলের কর্মীদের ১২ মাসের বেতন দিতে হবে, কর্মীদের ইউনিফর্ম দিতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার দিতে মাথাপিছু ১০ টাকা বরাদ্দ করতে হবে, ন্যূনতম মাসিক বেতন ২৬ হাজার টাকা করতে হবে মিড-ডে মিল কর্মীদের। ঈদ ও দুর্গাপুজোয় কর্মীদের বোনাস দিতে হবে।
এই দাবিকে সামনে রেখে রবিবার চাঁচলেও সিআইটিইউ-র নেতৃত্বে মিড-ডে মিল কর্মীদের নিয়ে সভা হয়েছে। চাঁচলের মুজফফর আহমেদ ভবনে সভা থেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়। 
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বারেবারে আন্দোলনে নামছেন মিড ডে মিল, আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। মিড ডে মিল দেশের স্কুল পড়ুয়া বিপুল অংশকে পুষ্টি জেগানোর উদ্দেশ্যে চালু হয়। বস্তুত দেশের ভবিষ্যতকে পুষ্ট করতে পারে এই প্রকল্প। কিন্তু প্রাথমিক স্তরে মাথাপিছু বরাদ্দ ৫.৪৫ টাকা, উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ ৮.১৭ টাকা। ভয়াবহ বঞ্চনার শিকার মিড ডে মিল কর্মীরা। তাঁদের কর্মীর স্বীকৃতি দেওয়া হয় না এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে। রাজ্যের ভাগও সময়মতো না পৌঁছানোর অভিযোগ রয়েছে। তার ওপর খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির হার চড়া হলেও বরাদ্দ বাড়ে না। তীব্র সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে এই প্রকল্প, যার নাম বদলে করা হয়েছে ‘পিএম পোষণ’।  
অথচ, এক দিকে কেন্দ্রের সরকার দাবি করে চলেছে ভারত বিশ্বের প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকা অর্থনীতি। আর রাজ্যের সরকার বলে চলেছে ‘এগিয়ে বাংলা’।  
সভায় ঠিক হয় আগামী ৩০ জুলাই বিডিও অফিসে দাবিগুলি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নেতা মানওয়ারুল আলম, শিক্ষক নেতা হারুণ উল রশিদ, নগেন নুনিয়া, লিচ্ছবি নিত্য ও মিড-ডে মিল কর্মী আন্দোলনের রাজ্যস্তরের নেতা শঙ্কর প্রসাদ। সভায় শতাধিক মিড-ডে মিল কর্মী অংশ নিয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment