SUICIDE

শিলিগুড়ির হোমে ধর্ষিতা নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

রাজ্য জেলা

শিলিগুড়ির হোম থেকে ধর্ষিতা নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে হোমের শৌচাগার থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালে শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমপাড়া এলাকার হোম থেকে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোমে থাকা অন্যান্য নাবালিকারা এদিন সকালে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। এরপরে খবর দেওয়া হয় হোম কর্তৃপক্ষকে। খবর পেয়ে চলে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ও পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। হোম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে শহর জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, আত্মঘাতী নির্যাতিতা নাবালিকা শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। করোনাকালে বাবা মা—কে হারায় নাবালিকা। পরবর্তী সময়ে দিদা ও পিসির বাড়িতেই থাকতো সে। বাড়িতে সকলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রতিবেশী এক যুবক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেপ্তারও করা হয়। ধৃত যুবক হরিশ শর্মা বর্তমানে জেলে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে রয়েছে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দেয় নাবালিকাকে শিলিগুড়ির হোমে রাখার। আদালতের নির্দেশ মেনেই গত ২৮ আগস্ট থেকে শিলিগুড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হোমটিতে ছিলো নির্যাতিতা নাবালিকা। এদিন সকালে হোমের শৌচাগার থেকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় নির্যাতিতা নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মঘাতী নাবালিকার মামি বলেন, "দুর্গা পূজার সময় শেষ বার দেখেছিলাম। নতুন জামা দিয়ে এসেছিলাম। ফোনে কথা হলে বলতো ভালো আছি। আজকে সকালে বাগানে খবর এসেছে ও আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার কারণ জানি না"। 
নাবালিকার আত্মহত্যার ঘটনাকে ঘিরে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে হোম কর্তৃপক্ষ। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেবারও চেষ্টা করা হয়েছে বলেও হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে হোমের ইনচার্জ দেবযানি দেব ভৌমিক জানান। রাজ্যের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান বাসন্তী বন্দোপাধ্যায় বলেন, নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তদন্ত হবার কথা রয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। গোটা ঘটনা জেলা শাসক ও শিশু সুরক্ষা কমিশনকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, হোম থেকে নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Comments :0

Login to leave a comment